গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপনসহ দেশব্যাপী স্বাস্থ্য খাতে গৃহীত সব প্রকল্পের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নেয়া প্রকল্পগুলোর কাজ সর্বোচ্চ স্বচ্ছতা ও দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে। প্রতিশ্রতি পূরণের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের কাছে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের জেলাভিত্তিক পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এ নির্দেশ দেন।
Advertisement
গোপালগঞ্জে গৃহীত অন্যান্য প্রকল্পের মধ্যে অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের তৃতীয় শাখা কারখানা, ট্রমা সেন্টার, শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ স্থাপন প্রক্রিয়ার অগ্রগতি সম্পর্কেও সভায় আলোচনা হয়। এছাড়া খুলনায় শহীদ শেখ নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের সম্প্রসারণ প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম, সিলেট, ভোলা, শেরপুর, পিরোজপুর জেলায় গৃহীত প্রকল্পসমূহের কাজের অগ্রগতির খোঁজখবরও নেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
এর আগে মূল স্থাপত্যশৈলী এবং সবুজায়নকে প্রাধান্য দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আধুনিকায়নের নকশা প্রণয়ন দ্রুত শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল আধুনিকীকরণের কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে তিনি এই নির্দেশ দেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ঢামেক হাসপাতালের ওপর চাপ ক্রমশঃ বাড়ছে। এই চাপ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী ঢামেক হাসপাতালের বর্তমান স্থাপত্যশৈলী অক্ষুণ্ন রেখে এর সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে কাজ হাতে নেয়া হচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, এই সংস্কার কাজের সুফল দেশবাসী যেন আগামী শতাব্দীতেও পায় সে লক্ষ্য নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনায় কাজটি করতে হবে। সভায় জানানো হয়, পাঁচ হাজার শয্যা ধারণক্ষমতা বহুতলবিশিষ্ট কয়েকটি ভবনে ঢামেক হাসপাতালের নতুন অবয়ব দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মেদ, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসির উদ্দিনসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, পূর্ত মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর এবং স্থাপত্য অধিদফতরের ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউ/এমআরএম/এমএস
Advertisement