বিশ্ব নেতৃবৃন্দের চাপ ও মিডিয়ার সমালোচনার পর থেমে গেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সেখানকার উগ্রপন্থী রাখাইন যুবকদের পাশবিকতা। এরপরও থামছে না রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ।
Advertisement
প্রতিদিন কোনো না কোনো পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। গত শনিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত টেকনাফ ও উখিয়ার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে প্রায় হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নতুন করে অনুপ্রবেশ করেছে। এতে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা উপস্থিতি ক্রমে বাড়ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, আগস্টে শুরু পাশবিকতার পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত আট লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয়ে রেখে পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু প্রতিদিন পাওয়া ত্রাণ মজুদ রেখে অতিরিক্ত ত্রাণ বিক্রি করে দেয়ায়র অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১১ ডিসেম্বর থেকে এক সপ্তাহ সব ধরনের ত্রাণ বিতরণ স্থগিত করেছে প্রশাসন। নতুন আসা রোহিঙ্গাদের মতে, এখন নির্যাতন বন্ধ হলেও রাখাইনে খাবারের প্রচণ্ড অভাব। তাই প্রাণে বাঁচতে তারা পালিয়ে আসছেন।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাহিদ হোসেন ছিদ্দিক বলেন, গত এক সপ্তাহে হাজারখানেক রোহিঙ্গা এসেছে। সেখানে খাবারের অভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে বলে তারা জানিয়েছে। তাদের মানবিক সহায়তা ও ত্রাণ দিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হচ্ছে।
Advertisement
এদিকে, আগস্টে শুরু হওয়া অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, লুটপাট, গুলিবর্ষণের পর প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা আট লাখ ছাড়িয়েছে। বুধবার পর্যন্ত আট লাখ ১৭ হাজার রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের আওতায় এসেছে। এসব রোহিঙ্গা কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী ক্যাম্পে আশ্রয়ে আছে।
সায়ীদ আলমগীর/এমএএস/এমএস