কেরেলায় নিজের বাসায় গত বছরের এপ্রিলে ধর্ষণের পর খুন হয়ে নগ্ন অবস্থায় পড়েছিলেন ৩০ বছর বয়সী জিসা। আইনের এই শিক্ষার্থীর সুরতহাল প্রতিবেদনেই অনেকটা নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল যে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
Advertisement
জিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আসামের আমির উল ইসলামকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন কোচির একটি আদালত। আমির পেশায় একজন শ্রমিক।
তবে দোষী সাব্যস্ত করার পর আমিরের দাবি, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এখানে নিয়ে এসেছে।
আদালতে উপস্থিত ছিলেন জিসার মা। ধর্ষণের পর মেয়ের নগ্ন হয়ে পড়ে থাকা নিথর দেহ দেখেছেন তিনি। মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন আর তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বিভৎস দৃশ্য কল্পনা করে মারাত্মকভাবে মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। মানসিকভাবে ভারসাম্য হারিয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীনও ছিলেন তিনি।
Advertisement
তার দাবি, জিসাকে ধর্ষণের পর যে হত্যা করেছে তার যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়। জিসার মায়ের ভাষায়, সে যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সেটা শুনে আমি খুবই খুশি। আমি তার ফাঁসি চাই। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে, এখন তাকে হত্যা করা উচিত। আমার মেয়ের সঙ্গে যা ঘটেছে সেটা যেন অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে। জিসার মা রাজেশ্বরী এনডিটিভির প্রতিবেদককে আদালত প্রাঙ্গণে এসব কথা জানান।
জিসাকে ধর্ষণের পর হত্যার ৫০ দিন পর অামিরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জিসার এই প্রতিবেশি তার বাড়িতে ঢুকে জিসাকে ধর্ষণের পর অভিযোগ ঢাকতে তাকে হত্যা করেছে।
মা-বোনের সঙ্গে একঘরে থাকতেন জিসা। ব্যবহারের মতো তাদের কোনো টয়লেটও নেই। চরম দীনতার মধ্যে দিয়ে তার পরিবার দিন পার করছিল। গত বছর জিসা হত্যাকান্ডের ব্যাপারে তদন্ত ধীর গতিতে চলার ব্যাপারেও অভিযোগ উঠেছিল।
চলতি বছরের ২৫ মে থেকে তদন্ত অনেকটাই গতি পায়। মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই তদন্ত দ্রুত শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শতাধিক পুলিশ এই তদন্তের জন্য দেড় হাজারের বেশি মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের আঙুলের ছাপ পরীক্ষা করে দেখেছে বিশেষ তদন্ত দল।
Advertisement
পরে জিসার বাড়ির পাশে রক্তমাখা একটি স্যান্ডেল কুড়িয়ে পায় পুলিশের সদস্যরা। সেটি পরীক্ষা করে দেখা যায়, স্যান্ডেলটি আমিরের। আর এটিই জিসা ধর্ষণের পর হত্যাকান্ডের সবচেয়ে বড় প্রমাণ।
সূত্র : এনডিটিভি
কেএ/আইআই