টানা দরপতন দেখা দিয়েছে দেশের শেয়ারবাজারে। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) টানা দুই কার্যদিবস দরপতন হয়েছে।
Advertisement
এর আগে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার এবং পরের দিন সোমবার উভয় বাজারে দরপতন হয়। তবে মঙ্গলবার সূচকের কিছুটা উত্থান ঘটে। কিন্তু এক কার্যদিবস পরেই আবার দরপতন দেখা দেয়। আর বৃহস্পতিবারের দরপতনের মধ্য দিয়ে সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যেই চার দিনই দরপতন হলো।
মূল্য সূচক পতনের পশাপাশি বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৮ পয়েন্ট। আর লেনদেন কমেছে ৬৭ কেটি ৬৮ লাখ টাকা।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৮ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ২৪৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুটি মূল্য সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের দিনের তুলনায় ৭ পয়েন্ট কমে ২ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে অবস্থা করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৩৮৯ পয়েন্টে।
Advertisement
বাজারটিতে লেনদেন হওয়া ১৩৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৫টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৫১৭ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৬৮৭ কোটি ১১ লাখ টাকা।
টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে বিডি থাই’র শেয়ার। কোম্পানিটির ১৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। লেনদেনে দ্বিতীয় স্থানে থাকা বারাকা পাওয়ারের ১৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ১৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল।
লেনদেনে এরপর রয়েছে- সিটি ব্যাংক, সিএমসি কামাল, এমসিএল প্রাণ, ফ্যাস ফাইন্যান্স, গোল্ডেন হার্ভেস্ট, ফু-ওয়াং ফুড এবং ব্র্যাক ব্যাংক। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক মূল্যসূচক সিএসসিএক্স ২৯ পয়েন্ট কমে ১১ হাজার ৬৯৬ পয়েন্টে অবস্থান করছে। বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। লেনদেন হওয়া ২৪২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে ৯৬টির দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ১০৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির দাম।
এমএএস/এমআরএম/আইআই
Advertisement