ভারতের হুগলি ও উত্তর দিনাজপুরের দু’টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় দু'টির অভিযুক্ত শিক্ষকদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
Advertisement
হুগলির বাঁশবেড়িয়ায় প্রথম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে দেবব্রত বিশ্বাস নামের একজন শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের ডালিমগাঁও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরজিৎ ঘোষ নামে আরেক শিক্ষককে। দু’জনের বিরুদ্ধেই মামলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩০ বছর ধরে বাঁশবেড়িয়ার ওই স্কুলে শিক্ষকতা করছেন দেবব্রত। যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর বাবা জানান, সোমবার স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে কান্নাকাটি করছিল তাদের মেয়ে। মঙ্গলবার স্কুলেও যেতে রাজি হচ্ছিল না সে।
স্কুলে যেতে না চাওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে সে জানায় দেবব্রত স্যার সঙ্গে ঠিক কী করেছে। পরে মেয়েটির পরিবারের পক্ষ থেকে দেবব্রতর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করা হয়।
Advertisement
মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় অভিভাবকদের বিক্ষোভ। স্থানীয়রা স্কুলে ঢুকে দেবব্রতকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
শিশুর পরিবার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শিক্ষক দেবব্রত অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, মিথ্যা অভিযোগ করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জের ডালিমগাঁও নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলের শিক্ষক সুরজিৎ ঘোষের দাবি একই। শিক্ষার্থীদের সন্তানের মতো দেখেন বলে দাবি করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলেও দাবি করেন তিনি।
তবে অভিভাবকদের দাবি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির তিন চার জন ছাত্রীকে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়েছেন সুরজিৎ। পরে পড়া বোঝানোর নামে তাদের গায়েও হাত দিন তিনি।
Advertisement
কালিয়াগঞ্জের বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রান্তিক চক্রবর্তী ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। তার অভিযোগেই পুলিশ সুরজিৎকে গ্রেফতার করে।
কালিয়াগঞ্জের এক শিক্ষার্থীর বাবা সুনীল সরকারের দাবি, কলকাতার একটি স্কুলে ছাত্রীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগ সামনে এসেছে শনিবার। সে দিনই এই স্কুলেও একই কাণ্ড হয়েছে বলে কয়েকজন ছাত্রী জানিয়েছে।
সোমবার সে ব্যাপারে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা শ্রীলেখা ঘোষকে জানান নির্যাতনের শিকার ওই শিশুর অভিভাবক। শিক্ষক শ্রীলেখা সে কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান। তার পরের দিনই তদন্ত শুরু হয়। অানন্দবাজার।
কেএ/এমএস