রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। এখানে সব ধরনের নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা থাকবে। কয়েকটি স্তরে নিরাপত্তা বিধান করা হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় লোকবল প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি নিয়োজিত করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল নির্মাণ পর্বের কাজের উদ্বোধন শেষে আয়োজিত সুধি সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রূপপুর প্রকল্পের বর্জ্য রাশিয়া নিয়ে যাবে। এ ব্যাপারে আমরা চুক্তি সম্পাদন করেছি।
এ নিয়ে বিরূপ সমালোচকদের জেনে বুঝে সঠিক কথা বলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নেগেটিভ মন্তব্য না করে মেধাকে ভালো কাজে লাগালে জাতি উপকৃত হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়, আমাদের যে সম্পদ আছে তাই ব্যবহার করে আমরা মাথা উঁচু করে এগিয়ে যেতে চাই। জাতির জনকের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়ন করে চলেছি। বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত একটি দেশ।
ঘরের শত্রু বিভীষণ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে। এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করি। কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে আবার এই প্রকল্পের কাজ স্থগিত করে। জনগণের ভোটে আবার আমরা রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলোর কাজ শুরু করি। এই প্রকল্পটির কাজ আজ শুরু হলো। আমি আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষও হবে। দেশে বিদ্যুতের চাহিদার একটি বড় অংশ এখান থেকে পূরণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতার জন্য রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে তিনি ভারতসহ এই নির্মাণকাজে নিয়োজিত সকল বিজ্ঞানী ও শ্রমিক-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী ড. ইয়াফেস ওসমানের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন রাশিয়ান স্টেট নিউক্লিয়ার এনার্জি কর্পোরেশনের মহাপরিচালক লিখাচেভ আলেক্সেই, ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ, অধ্যাপক মসিউর রহমান প্রমুখ।
Advertisement
আলাউদ্দিন আহমেদ/আরএআর/পিআর