গোড়ালি ফাটা খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এটি শুধু সৌন্দর্যের সমস্যাই না, স্বাস্থ্যগত সমস্যাও বটে। এ কারণেই নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। সারাবছরই সচেতন থাকতে হবে। গোড়ালি ফাটা প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে ভালো উপায় প্রতিকার এর চেয়ে। সমস্যা হওয়ার পর সচেতন হওয়ার চেয়ে আগে সচেতন হওয়াই ভালো।
Advertisement
পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করা পা, ফাটার বিরুদ্ধে হাতিয়ার। একটি পরিষ্কার বালতিতে সহনীয় মাত্রার গরম পানি নিয়ে তাতে বেবি সাবান অথবা শ্যাম্পু মিশিয়ে নিন। এতে একটু লেবুর রস এবং লবণ মিক্স করে পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। কিছুক্ষণ পর গোড়ালির মৃত কোষগুলো নরম হয়ে এলে ব্রাশ অথবা পিউমিস স্টোন দিয়ে ঘষে তুলতে হবে। এরপর শুকনো কাপড় দিয়ে পানি মুছে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে।
আরও পড়ুন : প্রাকৃতিক উপায়ে রূপচর্চা
পায়ের ড্রাই স্কিন থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত স্ক্রাব করতে হবে। বাজারের স্ক্রাব ব্যবহার না করতে চাইলে ঘরে বসেই তৈরি করুন মধু, আপেল সিডার ভিনেগার আর চালের গুঁড়ো দিয়ে। এগুলোর সাথে কয়েক ফোঁটা বাদাম তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন এবং ঘন পেস্ট তৈরি করে পায়ে লাগান। ২০ মিনিট পর এই মিশ্রণ দিয়েই পায়ের গোড়ালি ম্যাসাজ করে ফেলুন। এখানে ভিনেগার গোড়ালির ফাটা দূর করবে, চালের গুঁড়ো স্ক্রাব হিসেবে কাজ করবে আর মধু ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করবে।
Advertisement
ঘরে বসেও ময়েশ্চারাইজার বানিয়ে ফেলতে পারেন। একটি বোতলে এক চামচ অলিভ অয়েল এবং কয়েক ফোটা ল্যাভেন্ডার অয়েল নিয়ে তাতে সমান পরিমাণ পানি মিশিয়ে ঝাঁকান এবং দুধসাদা রং এলে তৈরি হয়ে গেল আপনার ময়েশ্চারাইজার।
আরও পড়ুন : উপটানে রূপচর্চা
প্রতিদিন সকালে ওটমিল আর জোজোবা অয়েল এর মিক্সার দিয়ে ফুট স্ক্রাব করলেও আপনার পায়ের ময়েশ্চারাইজার ঠিক থাকবে। আর পা ফাটার ক্ষেত্রে এটার ঘন পেস্ট তৈরি করে ৩০ মিনিট রেখে ওয়াশ করতে হবে ১দিন পর পর।
পা ফাটা চিকিৎসা আর প্রতিরোধে আপনার খাবারে রাখুন ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড। এছাড়াও রাখুন ভিটামিন ই এবং মিনারেলস। নিয়মিত দুধ ও দুধজাত খাবার, সামুদ্রিক মাছ, চিকেন, মাংস, কলিজা, ডিম, শাকসবজি, সিমের বিচি রাখুন।
Advertisement
এইচএন/এমএস