ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭ শিক্ষার্থী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বৃহস্পতিবার একদিনের রিমান্ড শেষে তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। এসময় তাদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তিনি। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের জবানবিন্দ রেকর্ড করেন। রেকর্ড শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
Advertisement
এর আগে বুধবার তাদের ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিআইডি। এ সময় শাহবাগ থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান প্রত্যেকের একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সোমবার দিবাগত রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সাত শিক্ষার্থী হলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী তানভীর আহম্মেদ মল্লিক, মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের বায়জিদ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের নাহিদ ইফতেখার, অর্থনীতি বিভাগের প্রথমবর্ষের ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, সংস্কৃত বিভাগের প্রথমবর্ষের প্রসেনজিৎ দাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের রিফাত হোসাইন এবং ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম।
Advertisement
উল্লেখ্য, গত ২০ অক্টোবর ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও ঢাবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রথমবর্ষের ছাত্র মহিউদ্দিন রানাসহ ১৫ জনকে আটক করে পুলিশ। এদের মধ্যে রানাসহ তিনজনকে চারদিনের রিমান্ডে দেন আদালত। রিমান্ডে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের সহযোগীদের নাম জানান। রানার দেয়া তথ্যমতে ও সিইআইডির অনুসন্ধানে ওই জালিয়াতি চক্রের আরও কিছু সদস্যের নাম পাওয়া যায়।
জেএ/এসএইচএস/আইআই