বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী মিয়ানমারের রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় মিয়ানমারের রাজধানী নেইপিদোতে সু চি’র কার্যালয়ে এই বৈঠক শুরু হয়েছে।
Advertisement
বৈঠকে মিয়ানমারের রাখাইনে গত আগস্টে দেশটির সেনাবাহিনীর নিপীড়নে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে দুই দেশের মাঝে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে বুধবার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিয়াও টিন্ট সুয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দেশটির দৈনিক মিয়ানমার টাইমস বলছে, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে শিগগিরই দুই দেশের মাঝে চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ওই কর্মকর্তা বলেছেন, দ্বিপাক্ষিক চেষ্টার মাধ্যমে এই সঙ্কটের সমাধান করতে হবে।
দেশটির সামাজিক কল্যাণ, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন মন্ত্রী ইউ মিন মিয়াত আয়ে বলেছেন, প্রত্যাবাসন চুক্তির ব্যাপারে দুই দেশের আগ্রহ রয়েছে। তিনি বলেন, আলোচনার অর্থই হচ্ছে সমঝোতা। কোনো পক্ষেরই ১০০ শতাংশ দাবি পূরণ হবে না।
Advertisement
এদিকে, গত রোববার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, দু’দেশের মধ্যে চুক্তি নিয়ে কথা হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে দিতে একটি ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠনেরও আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ এক সহকর্মী দাবি করেছেন, দুই দেশ এক ধরনের বোঝাপড়ায় প্রায় উপনীত হয়েছে, এখন শুধু কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো বাকি। এর একদিন পর মঙ্গলবার মিয়ানমারের নেত্রী সু চি বাংলাদেশের সঙ্গে চলতি সপ্তাহেই চুক্তি হতে পারে আশা প্রকাশ করেন।
সূত্র : মিয়ানমার টাইমস, রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর
Advertisement