রাজধানীর শান্তিনগরের বেইলি রোড মোড়ে ‘রং সাইড’ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন সংসদ সদস্য (এমপি) সেলিম উদ্দিন। তার গাড়িতে ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার দেখার পরও সামনে পথ আগলে দাঁড়ান ট্রাফিক পুলিশের সাহসী এক সদস্য।
Advertisement
এমপি তখন তেড়ে আসেন পুলিশ সদস্যের দিকে। আর তখনই পথচারীর মোবাইল ক্যামেরায় শুরু হয় ঘটনার দৃশ্য ধারণ। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ফিরে গিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে স্থান ছাড়েন ওই সংসদ সদস্য।
রোববার রাতে রাজধানীর বেইলি রোড থেকে বেরিয়ে উল্টোপথে শান্তিনগরের দিকে যেতে চান সেলিম উদ্দিন। আর সেখানেই তাকে বাধা দেন কনস্টেবল আলমগীর। পাশেই দাঁড়ানো ছিলেন কনস্টেবল রায়হান ও সার্জেন্ট ছদরুল হাকিম।
সাংসদকে উল্টোপথে যেতে বাধা দেয়ার ভিডিওটি ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে ফেসবুকে। সেই সঙ্গে সমালোচনার মুখেও পড়ত হচ্ছে ওই সাংসদকে।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট-৫ (জকিগঞ্জ-কাইনাইঘাট) আসনের জাতীয় পার্টির এমপি সেলিম উদ্দিনের গাড়ি ছিল ওই পথে। তার গাড়ির নম্বর (ঢাকা মেট্রো ঘ-১৫০০০৩)। গাড়ির পেছনের সিটে বসা ছিলেন এমপি নিজে।
ডিউটিরত পুলিশ সদস্য উল্টোপথে যেতে চেষ্টা করা ওই গাড়িটির সামনে দাঁড়িয়ে বাধা দেন। বলেন ‘সাইনবোর্ড দেখেন, উল্টোপথে যাওয়া যাবে না।’
এমন কথা শুনে গাড়ি থেকে নেমে পথ আটকোনো কনস্টেবলের উদ্দেশে তেড়ে আসেন তিনি।
তবে ততক্ষণে পথচারীদের কয়েকজন ঘটনার ভিডিও করতে শুরু করেন। ফলে অবস্থা বেগতিক দেখে ঠিক পথে গাড়ি নিয়ে চলে যান তিনি।
Advertisement
ওই ভিডিওটিই পরে ‘ট্রাফিক এলার্ট’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে এমপি সেলিমের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক (দক্ষিণ বিভাগ) উপ-কমিশনার (ডিসি) রিফাত রহমান শামীম জাগো নিউজকে বলেন, উল্টোপথে চলা আইনত অপরাধ। উল্টোপথে না চলতে পুলিশের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পোস্টারিং, সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে। এরপরও কোনো সচেতন নাগরিকের উল্টোপথে চলা দুঃখজনক। উল্টোপথে চলতে চেষ্টা যেই করুক না কেন, আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব। জরুরি সেবার ক্ষেত্রে, রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স, জরুরি অভিযান পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যবাহী যানবাহনের ক্ষেত্রে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হয়।
জেইউ/এনএফ/এমএস