দেশজুড়ে

৬ নারীকে ধর্ষণ : গ্রেফতার হয়নি সেই ছাত্রলীগ নেতা

প্রতারণা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে ছয় নারীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আলোচিত শরীয়তপুরের ছাত্রলীগ নেতা আরিফ হাওলাদারকে এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। গত শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনায় ভুক্তভোগী এক গৃহবধূ ভেদরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

Advertisement

মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, আসামি আরিফ হাওলাদার তার স্বামীর আত্মীয় হওয়ায় এবং কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় মাঝে মধ্যেই তার শ্বশুরবাড়িতে আসত। তার স্বামী বিদেশ যাওয়ার পর গত ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আরিফ হঠাৎ করেই তার ঘরে ঢুকে পড়ে এবং জড়িয়ে ধরে আপত্তিকর ভিডিও করতে থাকে। একপর্যায়ে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে আরিফ।

ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ বলেন, মানসম্মানের ভয়ে এতদিন কাউকে কিছু বলেনি। এখন ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়ায় আমার সব শেষ হয়ে গেছে। আমার মতো অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছে আরিফ। কিন্তু মামলা করার পর পাঁচদিন পার হয়ে গেলেও গ্রেফতার হয়নি আরিফ।

শরীয়তপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গোসাইরহাট সার্কেল) থান্ডার খায়রুল হাসান বলেন, মামলা হওয়ার পর আরিফ হোসেন পালিয়েছে। পুলিশের তিনটি টিম তাকে ধরার জন্য কাজ করছে। আসামিকে গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়নপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের (বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক আরিফ হাওলাদার গোপনে ছয় নারীর আপত্তিকর ছবি ভিডিও করে এবং ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে তাদের ধর্ষণ করে। এসব ধর্ষণের চিত্রও গোপনে ভিডিও করে রাখে।

লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনার শিকার নারীরা এসব কথা কাউকে না বললেও সম্প্রতি ওই সব ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওগুলোতে গৃহবধূ ও কলেজছাত্রীসহ ভিন্ন ভিন্ন ৬ নারীর সঙ্গে আরিফকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখা গেছে। ভুক্তভোগী ছয় নারীর মধ্যে চারজনের পরিচয় জানা গেলেও দু’জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এ ঘটনায় ১০ নভেম্বর সংগঠন থেকে আরিফকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করে শরীয়তপুর জেলা ছাত্রলীগ। আরিফ বর্তমানে পলাতক রয়েছে। মামলার পাঁচদিন পেরিয়ে গেলেও তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

ছগির হোসেন/আরএআর/আইআই

Advertisement