‘হ্যালো, ওয়ান, টু, থ্রি... মাইক্রোফোন টেস্টিং। ওয়ান, টু, থ্রি, হ্যালো --। মঞ্চের চারপাশে অসংখ্য ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে। আপনারা যারা এগুলো লাগিয়েছেন নিজ দায়িত্বে খুলে ফেলুন। কোনোভাবেই সমাবেশস্থলের পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না।’ রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে নির্মিত বিএনপির সমাবেশের জন্য প্রস্তুত মঞ্চ থেকে এক ব্যক্তি এভাবেই বলছিলেন।
Advertisement
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সীমানার পশ্চিম পাশের প্রাচীর ঘেঁষা প্রস্তুত এ মঞ্চেই জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির ডাকা সমাবেশ।
ওই ব্যক্তি মাইকে আরও বলছিলেন, ‘আপনারা জানেন, জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) উদ্যোগে আজ (রোবাবর) দুপুরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি চেয়ারপারসন, তিন তিনবারের দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তাই সমাবেশে শুরুর আগেই নিজ দায়িত্বে ব্যানার-ফেস্টুন সরিয়ে ফেলুন।’
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় শেষ। মঞ্চ তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানান, শনিবার সন্ধ্যা থেকে মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়। রাতের মধ্যেই ৬০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩০ ফুট প্রস্থের সমাবেশ মঞ্চ তৈরির কাজ প্রায় সম্পন্ন। এখন মঞ্চের আশেপাশে মাইকে সংযোগ স্থাপন, সিসিটিভি লাগানো ও সাউন্ড সিস্টেম ঠিক আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
Advertisement
এ ছাড়া মঞ্চের সামনে বাঁশ দিয়ে একটি নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত বেরিকেড দেয়া হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার স্বার্থে সাধারণ নেতাকর্মীদের ওই ব্যারিকেডের বাইরে থাকতে হবে বলেও জানান তারা।
পরিদর্শনকালে আরও দেখা যায়, সমাবেশ মঞ্চের আশেপাশের ল্যাম্পপোস্ট ও বিভিন্ন গাছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবির সঙ্গে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের ছোট-বড় নেতাকর্মীদের পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন ঝুলছে। মঞ্চ থেকে যখন এগুলো খুলে ফেলার নির্দেশনা অাসছিল তখনও কয়েকজন যুবক এক নেতার ব্যানার লাগাচ্ছিলেন।
এদিকে ২৩ শর্তে আজ দুপুরে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই সকাল বেলায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলে এসেছেন। তবে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উদ্যানের অাপেশাপাশে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। উদ্যানে উপস্থিত কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, শনিবার রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় ছুটে এসেছেন। পুলিশি বাধা না পেলে আজ সোহরাওয়ার্দী উদ্যান জনসমুদ্রে পরিণত হবে।
উল্লেখ্য, বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ (রোববার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার লিখিত অনুমতি পেয়েছে বিএনপি। ২৩ শর্তে বিএনপিকে এ সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
Advertisement
এমইউ/আরএস/এমএস