মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার ঘটনায় অভিযুক্ত টিটু (৪০) নিজের নাম লিখতে পারে না বলে পরিবারের লোকজন দাবি করলেও MD Titu নামের আইডিটা টিটু রায়ের নিজেরই। আইডিতে তার মা জীতেন বালাসহ অন্য স্বজনদের ছবিও পোস্ট করেছেন টিটু।
Advertisement
পুলিশের একজন দ্বায়িত্বশীল কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাগো নিউজকে বলেন, টিটুর নাম ব্যবহার করে অন্য কেউ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালু করার বিষয়টি ধারণা করা হলেও এখন নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, যে আইডিতে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা হয়েছে সেই আইডিটি টিটু রায়ের। তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর দিয়ে সার্চ দিলে আলোচিত সেই ফেসবুক আইডি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে। আরও তথ্য জানতে পুলিশ কাজ করছে।
এদিকে টিটুর আইডিতে দেখা যায়, বিভিন্ন সময়ে মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করা ছাড়াও তার মা জীতেন বালাসহ অন্য স্বজনদের ছবি এবং সেলফি তুলে পোস্ট করেছেন তিনি। গ্রামবাসীর কাছ থেকে ও এনজিও থেকে কয়েক লক্ষাধিক টাকা ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ করতে না পেরে নিজ বাড়ি ছেড়ে ঢাকায় পাড়ি জমান টিটু। গত সাত বছর ধরে গ্রামছাড়া তিনি।
এছাড়াও দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পারিবারিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন তিনি। গ্রামের বাড়িতে বিধবা মা ও ছোট ভাই বিপুলের সঙ্গে কোনো প্রকার যোগাযোগও করতেন না টিটু।
Advertisement
মহানবীকে (সাঃ) নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি ও অবমাননাকর ছবি পোস্ট করার ঘটনায় শুক্রবার জুমার নামাজের পর রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়নের শলেয়াশাহ ঠাকুরবাড়ি গ্রামে স্থানীয় মুসল্লি ও গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হন। এ ঘটনায় ৮টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ এবং ভাঙচুরসহ লুটপাট করা হয়। টিটুর ছোট ভাই বিপুল জানান, দুই ভাই মিলে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে কয়েকদিন গিয়েছিলেন। একদিন এক শিক্ষক টিটুকে মারধর করায় সেদিন থেকে সে স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। টিটু নিজের নামটাও লিখতে পারে না বলে দাবি করেন বিপুল।
এদিকে বিপুলের মা জীতেন বালারও দাবি, টিটু হাতেগোনা কয়েকদিন স্কুলে গিয়েছিলেন। ফেসবুক কী তা নিজে না জানলেও তার ছেলে এটা ব্যবহার করতে পারবে না বলে মনে করেন তিনি।
জিতু কবীর/এমএএস/আরআইপি
Advertisement