ভারতে দূষণের কারণে এক বছরে পাঁচ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটের নতুন একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের ওই রিপোর্ট অনুযায়ী পিএম২ দূষণের কারণেই এক বছরে এত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। খবর অল ইন্ডিয়া।
Advertisement
ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, বাড়ির ভেতরে দূষণের কারণেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে। ভারতে জ্বালানী পুড়িয়ে রান্নার কারণে দূষণ ছড়ায় এবং তা থেকে পিএম২ উৎপন্ন হয়। মারাত্নক এই দূষণের কারণেই ২০১৫ সালে ১ লাখ ২৪ হাজার ২০৭ জন ভারতীয় প্রাণ হারিয়েছেন।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ক্লিন কুকস্টোভের প্রধান নির্বাহী রাধা মুথিয়াহ বলেন, রান্নার কাজে ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ মানুষই জ্বালানী পুড়িয়ে ব্যবহার করে। বাড়ির ভেতরে রান্নার কাজে ব্যবহৃত জ্বালানী থেকে উৎপন্ন ধোঁয়া থেকে যে দূষণ ছড়ায় তাতে ১০ লাখের মতো মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে। এই দূষণের কারণে শুধুমাত্র নারীরাই নয় বরং তাদের সন্তান এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, পিএম২ মানুষের শরীরের জন্য খুবই বিপজ্জনক। এছাড়া পিএম১০ ও ক্ষতিকারক। এটি গলায় আটকে যায় কিন্তু পিএম২ নাকে বা গলায় আটকে যায় না। ফলে খুব সহজেই শরীরে প্রবেশ করতে পারে। এটি ফুসফুস এবং রক্তে মিশে যায়।
Advertisement
কল-কারখানায়, কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং পরিবহন থেকে নির্গত গ্যাস থেকেও পিএম২ উৎপন্ন হয়। ল্যানসেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৫ সালে এসব উৎস থেকে নির্গত দূষণ থেকেও বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। সর্বোচ্চ কার্বন ডাইঅক্সাইড নির্গত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে ভারত চতুর্থ। এছাড়া দেশটির ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার কারণেও উচ্চমাত্রার বিভিন্ন দূষণ হচ্ছে।
ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৮০ সালের পর ভারত তাদের শক্তির উৎস তিনগুন বাড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ভারতের পুরো প্রাথমিক শক্তি সরবরাহ বা টিপিইএস-এ কয়লার ব্যবহার ২২ শতাংশ থেকে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
টিটিএন/পিআর
Advertisement