মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগ তুলে নরসিংদীতে এক কিশোরীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরের দিকে আজিজা খাতুন (১৪) নামে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়।
Advertisement
অভিযোগ পাওয়া গেছে, মোবাইল ফোন চুরির অপবাদ দিয়ে শুক্রবার রাতে আজিজার হাত-পা বেঁধে তার শরীরে আগুন দেয় তারই চাচি। এরপর দগ্ধ অবস্থায় আজিজাকে যখন ঢামেক হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয় ততক্ষণে তার শরীরের ৯৬ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল।
আজিজার চাচির নাম বিউটি বেগম। তার পরিবারের অভিযোগ, মোবাইল চুরির অভিযোগ তুলে চাচি বিউটি বেগমসহ ৩/৪ জন আজিজার শরীরে আগুন দেন।
আজিজার বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর থানার খনকুট গ্রামে। বাবার নাম আব্দুর সাত্তার, মা রেহেনা বেগম। ৭ ভাই বোনের মধ্যে আজিজা ছিল তৃতীয়।
Advertisement
আব্দুর সাত্তার বলেন, কিছু দিন আগে চাচি বিউটির একটি মোবাইল হারিয়ে যায়। বিউটির সন্দেহ ছিল মোবাইলটি আজিজা চুরি করেছে। কিন্তু আজিজা চুরি করেনি। এরপর গতরাতে হঠাৎ আজিজাকে মারধর ও ৩/৪ জন মিলে তার গায়ে আগুন দেয়।
আব্দুর সাত্তারের দাবি, এটি শুধু নির্যাতন নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এর বিচার চান তিনি। ঘটনার বিষয়ে রাতে নরসিংদীর শিবপুর থানা পুলিশকে অবগত করা হয়েছে।
ঢামেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগ সূত্র জানায়, আগুনে আজিজার শরীরের ৯৬ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। যে কারণে বাঁচার সম্ভাবনা ছিল কম।
ঘটনার বিষয়ে নরসিংদীর শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ-উদ-জামান জানান, ঘটনার মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, তবে এখনও মামলা কিংবা লিখিত অভিযোগ পাইনি। ঘটনার পরপরই আমরা খোঁজ খবর নিয়েছি। ভিকটিম পরিবার ঢাকায়। আমরা এ ব্যাপারে অবশ্যই কার্যকরী ব্যবস্থা নেব।
Advertisement
জেইউ/এনএফ/আরআইপি