বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে লভ্যাংশের এক কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছে দুটি প্রতিষ্ঠান। হেইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ লিমিটেড এক কোটি ৯ লাখ ২৩ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৫৯ লাখ ৯১ হাজার ৩৭১ টাকার চেক হস্তান্তর করেছে।
Advertisement
মঙ্গলবার সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নুর কাছে প্রতিষ্ঠান দুটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা লভ্যাংশের চেক হস্তান্তর করেন। ২০০৬ সালের শ্রম আইন (২০১৩ সালে সংশোধিত) অনুযায়ী, ২ কোটি টাকার বেশি মূলধনী প্রতিষ্ঠানের এক বছরের নিট লভ্যাংশের ৫ শতাংশের মধ্যে চার শতাংশ অর্থ নিজ কোম্পানির শ্রমিকদের জন্য বরাদ্দ থাকে। বাকি এক শতাংশের অর্ধেক প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে বাকি অর্ধেক শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিলে জমা দিতে হয়। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের কল্যাণে অর্থ সহায়তা দেয় সরকার।
হেইডেলবার্গ সিমেন্টের সেক্রেটারি সচিব মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, ডিএসই’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দ আল-আমিন রহমান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর হাতে লভ্যাংশের চেক তুলে দেন। এ সময় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব দেশি ও বিদেশি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান যদি তাদের লাভের নিদিষ্ট অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা দেয় তাহলে বাংলাদেশে আর কোনো শ্রমিক অসহায় থাকবে না।’
এ তহবিল থেকে কোনো শ্রমিক দুর্ঘটনায় মারা গেলে ২ লাখ টাকা, কর্মক্ষেত্রে পঙ্গু হলে সর্বোচ্চ ২ লাখ টাকা, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে এক লাখ টাকা, কোনো শ্রমিকের সন্তান সরকারি মেডিকেল কলেজ বা সরকারি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করলে তিন লাখ এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করলে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান মুজিবুল হক।
Advertisement
কর্মসংস্থানমন্ত্রী আরও জানান, এখন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে তহবিলে প্রায় আড়াইশ কোটি টাকা রয়েছে। দেশি এবং বহুজাতিক মিলে ৯৪টি প্রতিষ্ঠান এই তহবিলে লভ্যাংশ জমা দিয়েছে। এ পর্যন্ত এ তহবিল থেকে শ্রমিকদের কল্যাণে ব্যয় করা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। চেক হস্তান্তরের সময় শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের মহাপরিচালক আনিসুল আওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/ওআর/বিএ