ধর্ম

নির্যাতনেও কুরআনের প্রতি রোহিঙ্গাদের আকর্ষণ কমেনি

দীর্ঘ প্রায় দুই মাস ধরে চলছে রোহিঙ্গা নির্যাতন। শত নির্যাতনেও কুরআন তেলাওয়াত থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি রোহিঙ্গাদের। গত ২৫ আগস্ট রাখাইনের রোহিঙ্গাদের ওপর শুরু হয় গণহত্যা ও নির্যাতন, যা এখনও অব্যাহত। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অত্যাচারে দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হয়েছে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা।

Advertisement

শরণার্থী ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়া ১০ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় তিন লাখই শিশু। এদের বেশির ভাগেরই দিন কাটে খাবারের খোঁজে। ক্ষুধার যন্ত্রণার মাঝেও এ শিশুরা ঠিকই শিখছে পবিত্র কুরআনুল কারিমের তেলাওয়াত।

রোহিঙ্গাদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় তারা তাদের শিশু-কিশোরদের জন্য কুরআন শিক্ষার আয়োজন করেছে। প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে তারা কুরআন শিক্ষা ও অধ্যয়ন করছে।

তারা ঘরবাড়ি সহায়-সম্পদ সব কিছু ছেড়ে জীবন বাঁচাতে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে পালিয়ে এসেছেন বাংলাদেশে। আশ্রয় নিয়েছেন কক্সবাজারের উখিয়া, টেকনাফ, কুতুপালং, বালুখালী, পালংখালীর বিভিন্ন ক্যাম্পে।

Advertisement

সহায়-সম্পদ, আত্মীয়-স্বজনসহ সব হারালেও নিজেদের ঐতিহ্য হারাননি মিয়ানমারের সেনাদের হাতে নির্যাতনের শিকার হওয়া এ মুসলিম রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক কোনো আয়োজনই নেই বললেই চলে। ক্যাম্পগুলোতে খাদ্যের নিশ্চিয়তা মিললেও পড়ালেখার কোনো সুযোগই নেই।

কিছু কিছু দাতব্য ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান তাদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিচ্ছে। আগামী বছর রোহিঙ্গাদের জন্য ইউনিসেফ ১৩০০ স্কুল স্থাপন করবে বলে শোনা যাচ্ছে। যদি এই ১৩০০ স্কুল স্থাপিত হয় তবে তাদের ২ লাখ শিশুর পড়ালেখার ব্যবস্থা হবে।

এমএমএস/জেআইএম

Advertisement