দেশজুড়ে

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে গৃহবধূ

শরীয়তপুর সদর উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন শুরু করেছেন সুলতানা আক্তার সুবর্ণা (২০) নামে এক গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে উপজেলায় দাতপুর পশ্চিম ভাষানচর গ্রামে প্রেমিক জহিরুল ইসলাম নাহিদের (২২) বাড়িতে অনশন করছেন সুবর্ণা। এ ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Advertisement

এলাকাবাসী জানায়, সুবর্ণা আংগারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ ভাষানচর গ্রামের সোহরাফ মাঝির মেয়ে। ২০১৪ সালের ২৯ অক্টোবর সুবর্ণার সঙ্গে শরীয়তপুর সদর পৌরসভার উত্তর মধ্যপাড়া গ্রামের শাহ জাহান মাদবরের ছেলে মাইক্রোবাসচালক সোহাগ মাদবরের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। স্বামী সোহাগ বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য প্রতিনিয়িত মারধর করত সুবর্ণাকে। সহ্য করতে না পেরে এক বছর সংসার করার পর স্বামীর সংসার ফেলে বাবার বাড়ি চলে আসেন সুবর্ণা।

সুলতানা আক্তার সুবর্ণা জানান, বাবার বাড়ি চলে আসার পর ২০১৫ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মোবাইল ফোনে রং নাম্বারে ওই ইউনিয়নের দাতপুর পশ্চিম ভাষানচর গ্রামের হাচান বেপারীর ছেলে জহিরুল ইসলাম নাহিদের সঙ্গে প্রথম কথা হয় তার। কথা বলতে বলতে বন্ধুত্ব, পরে প্রেমে জড়িয়ে পড়ে সুবর্ণা-নাহিদ। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এ কারণে তাদের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কও হয়। গত বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) বিয়ে করবে বলে নাহিদ তার খালাতো বোন সুমির ঢাকার মিরপুরের বাসায় নিয়ে যায় তাকে। কিন্তু বিয়ে না করে গত শনিবার ঢাকা থেকে তাকে বাবার বাড়িতে রেখে যায় নাহিদ। তাই এখন সে প্রেমিক নাহিদের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে।

তবে প্রেমিকা বাড়িতে অনশন শুরুর পর থেকে সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র প্রেমিক জহিরুল ইসলাম নাহিদ এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

Advertisement

প্রেমিকা সুলতানা আক্তার সুবর্ণা বলেন, নাহিদ আমাকে বিয়ে না করলে আমি তার বাড়ি থেকে যাব না। দরকার হলে নিজের জীবন শেষ করে দেব।

জহিরুল ইসলাম নাহিদের মা লাইলি বেগম (৫৫) বলেন, ছেলের কাজ-কর্ম নেই আবার বিয়ে করবে। সুবর্ণাকে বিয়ে করলে নাহিদকে আলাদা করে দেয়া হবে।

আংগারিয়া ইউপির ৬নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল সরদার বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। আমি এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি। তবে দুই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমাধানের চেষ্টা করব।

পালং মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Advertisement

ছগির হোসেন/আরএআর/জেআইএম