বিশ্ব ডিম দিবস শুক্রবার। ২১ বছর ধরে দিবসটি বিশ্বের ৬০টি দেশে পালিত হচ্ছে। ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল এগ কমিশন (আইইসি)। এর উদ্যোগে ওই বছর থেকেই ডিম দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে জেনে নিন কয়েকটি মজার তথ্য—
Advertisement
১. বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডিম শুধুমাত্র খাওয়ার জন্য উৎপাদিত হয়। বিশ্বে একজন মানুষ গড়ে ১৭৩ টি ডিম খান।
২. পৃথিবীতে যত ডিম খাওয়া হয় তার ৪০ শতাংশ চীনের মানুষ খান।
৩. ডিমভাজিতে গিনেস বুকে রেকর্ড করেছেন হাওয়ার্ড হেমলার। তিনি ৩০ মিনিটে ৪২৭টি ডিমভাজি করেন।
Advertisement
৪. একটি মুরগির ডিম উৎপাদন ক্ষমতা গড়ে ২৫০ থেকে ২৭০টি। তবে কোনো কোনো মুরগি ৩০০টির বেশি ডিম পাড়ে।
৫. ২০০৮ সালে প্রকাশিত এক গবেষণায় জানা যায়, কেবল নারী ডাইনোসর নয়, পুরুষ ডাইনোসরও তা দিয়ে ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়েছে।
৬. ২০০৩ সালে গরম ডিম খাওয়ার বিশ্ব রেকর্ড গড়েন সোনিয়া থমাস। তিনি ৬ মিনিট ৪০ সেকেন্ড ৬৫টি ডিম খেয়েছিলেন।
৭. মুরগির ডিম সাদা না লাল হবে তা মুরগির খাদ্যাভ্যাসের ওপর নির্ভর করে।
Advertisement
৮. একটা ডিমে চারভাগের তিনভাগ তরল পদার্থ থাকে।
৯. কাঁচা ডিমে ক্যালরির পরিমাণ ৭০, কিন্তু রান্না করে ডিমে ক্যালরির পরিমাণ ৭৭ থাকে।
১০. সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন করে চীন। প্রতি বছর ১৬০ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করে দেশটি।
১১. যুক্তরাজ্য প্রতি বছর ২৮০ বিলিয়ন মুরগি উৎপাদন করে। প্রতি বছর দেশটি ডিম উৎপাদন করে ৬৫ বিলিয়ন।
১২. মুরগি একমাত্র আদি গৃহপালিত প্রাণী। ইতিহাস বলে ১৪০০ বছর আগে চীনে মুরগি পালন করা হত।
১৩. ডিম আগে না মুরগি আগে? এটি জটিল রহস্য। তবে বাইবেলের মতে সর্বপ্রথম মুরগি আসে।
১৪. সূর্যে যে ভিটামিন ডি থাকে তা ডিমে পাওয়া যায়।
১৩. ডিমে অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে। যা মানসিক বিকাশে সহায়ক। এছাড়া ডিমে ভিটামিন এ, ফ্লুয়েড, তিন প্রকার ভিটামিন বি, ফসফরাস ও সিলেনিয়াম থাকে।
১৪. পৃথিবীতে যতপ্রকার পুষ্টিকর খাবার আছে। তার মধ্যে ডিম প্রধানতম পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার।১৫. ডিমে কোনো কার্বন কিংবা চিনি থাকে না।
১৬. সাধারণত ১৬০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ডিম থেকে বাচ্চা উৎপাদন হয়।
১৭. পচা ডিমও ফেলনা নয়। প্রতিবাদের উপকরণ হিসেবে কখনও কখনও পচা ডিম কাজে লাগে।
১৮. গত ৪০ বছরে ডিম খাওয়ার পরিমাণ তিন গুণ বেড়েছে।
১৯. উট পাখির ডিম সবচেয়ে বড়। একটি ডিমের ওজন গড়ে ১.৫ কেজি। ২০১৬ সালে ব্রিটেনের একটি মুরগি সবচেয়ে ছোট ডিম পাড়ে। যার আকার ছিল ১ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। এটিই এ পর্যন্ত ছোট আকারের ডিম।
২০. ২০১৭ সালে নেদারল্যান্ডসের ফার্মে উৎপাদিত কোটি কোটি ডিমে বিষ পাওয়া যায়। ওই বিষাক্ত রাসায়নিকের নাম ফিপ্রোলিন। ওই সময় বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস, জার্মানির বাজার থেকে কোটি কোটি ডিম সরিয়ে নেয়া হয়।
সূত্র : বিবিসি, হেলথ লাইন, কমিউনিটি চিকেন, ইনক্রিডেবল ডট ওআরজি, লাইফ হ্যাচ, ডিডইউনো, ওআরজি, ফাইন্ডিং গ্লোভারস
একে/এমএআর/বিএ