অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, এমডিজি গ্রহণ করার আগেই ১৯৯৯ সালে এর বাস্তবায়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া এবং নিজেদের মতো করে লক্ষ্য স্থির করা হয়। দেশের নিজস্ব সম্পদ এবং যা কিছু উন্নয়ন সহযোগিতা পাওয়া যায় তা দিয়েই এমডিজি বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
Advertisement
প্রবল ইচ্ছাশক্তির ফলে ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এমডিজির অধিকাংশ লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হয়। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ২০২৪ সালের মধ্যেই দারিদ্র্য দূরীকরণে সাফল্য অর্জন করবে।
নিউ ইয়র্কের মিলেনিয়াম হিলটন হোটেলে মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত ‘টুওয়ার্ডস সাসটেইনেবল ভেভেলপমেন্ট: লেসনস ফর্ম এমডিজিএস অ্যান্ড পথ ওয়ে এসডিজিস’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক থিংঙ্ক ট্যাংক ‘দ্য ইনস্টিটিউট ফর পলিসি, অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গভর্ননেন্স (আইপিএজি) সেমিনারের আয়োজন করে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ।
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। এমডিজি বাস্তবায়নের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ কিভাবে এসডিজি অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে অর্থমন্ত্রী আন্তর্জাতিক এই সেমিনারে তা তুলে ধরেন।
Advertisement
তিনি বলেন, এসডিজি খুবই আলাদা। বাংলাদেশের ভালো অভিজ্ঞতা রয়েছে যার ফলে লক্ষ্য নির্দিষ্ট করা এখন খুব সহজ। বাংলাদেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলো প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি। এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে মর্মেও তিনি বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
উদ্বোধন সেশনে বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপির ব্যুরো অব পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম সাপোর্টের সহকারী প্রশাসক ও পরিচালক এবং জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ম্যাগডি মার্টিনজ সোলাইমান। টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সামগ্রিক অর্থনীতির ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে একটি নিরবচ্ছিন্ন নীতিমালা প্রণয়ন করতে পেরেছে, ফলে দেশটির অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি সম্প্রতি বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে ৬ ভাগের ওপরে রয়েছে। তিনি বলেন, পাবলিক সেক্টরে জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সব পদক্ষেপের ফলে ১৯৯১ সালে যেখানে দারিদ্র্যের হার ৫৬ শতাংশ ছিল তা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়ে ২০১০ সালে ৩১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। তিনি সরকারের ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন ২০২১’ এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ ডেলিগেশনের মধ্যে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য সিনিয়র সচিব সামসুল আলম, অর্থ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব কাজী শফিকুল আজম।
এমইউএইচ/এমআরএম/এমএস
Advertisement