আমাদের দেশে দ্রব্যমুল্যের পাগলা ঘোড়া সব সময় দাপিয়ে বেড়ায়। কখন যে কোন পণ্যের ওপর আছর পড়ে সেটা বলা মুশকিল। তবে মওকা বুঝেই যে মুনাফালোভী সিন্ডিকেট সক্রিয় হয় সেটি বলার অপেক্ষা রাখে না। কখন কোন পণ্যের দাম বাড়ালে অধিক মুনাফা পাওয়া যাবে সেটি নিয়ে যেন রীতিমত গবেষণা করা হয়। আর তার গিনিপিগ হয় সাধারণ মানুষ।
Advertisement
এবার মূল্যবৃদ্ধির ভূতের আছর পড়েছে কাঁচা মরিচের ওপর। চালের দাম নিয়ে অস্বস্তি না কাটতেই বাড়তি কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ১২০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা মরিচ এখন ২৫০-২৬০ টাকায়। বিক্রেতারা বন্যা ও আমদানির দোহাই দিলেও দিশেহারা ক্রেতারা। একই সঙ্গে গুজব ছড়িয়ে বাড়তি দাম নেয়ার অভিযোগ তাদের। একশ’ গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচা মরিচের দাম দাঁড়ায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। যেখানে গত সপ্তাহেও একশ' গ্রাম কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারি বাজারে বাড়লে তার প্রভাব খুচরা বাজারেও পড়ে। বর্তমানে দ্বিগুণের বেশি দাম দিয়ে পাইকারি বাজার থেকে মরিচ আনতে হচ্ছে।
আমাদের দেশে বাজার নিয়ন্ত্রণের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা গড়ে উঠেনি। ফলে নানা উসিলায় বাড়ে দ্রব্যমূল্য। কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সরবরাহে ঘাটতির কথা বলা হচ্ছে। ঘাটতি কমবেশি থাকতে পারে। তাই বলে দাম আকাশচুম্বী হবে? হঠাৎ করে এই মূল্যবৃদ্ধি নিশ্চিতভাবেই আস্বাভাবিক। এবং তা ভোক্তাদের নিদারুণ দুর্ভোগে ফেলেছে। মূল্যবৃদ্ধির এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কাঁচা মরিচের উচ্চমূল্য হলেও কৃষক কিন্তু সেই দাম পাচ্ছে না। এটা স্পষ্টতই যাচ্ছে মুনাফালোভী সিন্ডিকের পকেটে। আর মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এই অবস্থার অবসান হওয়া অত্যন্ত জরুরি।
এইচআর/এমএস
Advertisement