শিক্ষা

প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগে নতুন জটিলতা

প্রস্তুতি থাকলেও বাংলাদেশ কর্মকমিশনের (পিএসসি) তালিকাভুক্তরা প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পাচ্ছেন না। পুলিশি তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

Advertisement

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ এম মনজুর কাদির জাগো নিউজকে বলেন, নিয়োগবিধি অনুযায়ী পিএসসির সুপারিশের ভিত্তিতে ৮৯৮ জনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ দেয়ার কথা থাকলেও তা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে আগামী সপ্তাহে শুধুমাত্র ৪৬৯ জনকে নিয়োগপত্র দেয়া হবে।

তিনি বলেন, এক বছর আগে পিএসসি এ সুপারিশ পাঠালেও পুলিশি প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হওয়ায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে অনেকে ভিন্ন চাকরিতে যোগদান করছেন। অনেকে আবার প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগের অপেক্ষায়।

সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ২০ হাজার প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য। প্রধান শিক্ষকবিহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। বিষয়টি আমলে নিয়ে পিএসসির সুপারিশকৃতদের মধ্য থেকে প্রথমবারের মতো বিসিএস পরীক্ষায় নন-ক্যাডারে উত্তীর্ণ ৮৯৮ জনের নিয়োগ বাস্তবায়ন করবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)।

Advertisement

তথ্যমতে, ২০১৩ সালের নিয়োগ বিধিমালা অনুযায়ী নন-ক্যাডারভুক্তরা প্রধান শিক্ষক পদে ১১-১২ গ্রেডে নিয়োগ পাবেন। নতুন বিধিমালা অনুযায়ী ৬০ শতাংশ পিএসসির সুপারিশে এবং ৪০ শতাংশ শিক্ষকতার জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেয়া হবে।

জানা গেছে, পিএসসির তালিকাভুক্ত ব্যক্তিদের পুলিশি প্রতিবেদন পাঠাতে নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু এক বছর হয়ে গেলেও তালিকাভুক্তদের পুলিশি প্রতিবেদন পাঠানো হয়নি। এ কারণে আবারও নতুন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনজুর কাদির।

উল্লেখ্য, বিসিএসে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে (যারা ক্যাডার পায়নি) দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে ২০১৪ সালের ১৬ জুন নন-ক্যাডার পদের নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করে সরকার।

এমএইচএম/ওআর/আইআই

Advertisement