দেশজুড়ে

লালমনিরহাটের মার্শাল আর্ট কন্যার ব্রোঞ্জ জয়

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার হরিদাস গ্রামের শান্তনা রায় ২০ তম বিশ্ব তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে বোঞ্জ পদক পেয়েছেন। আজ রোববার দুপুরে ঢাকায় পৌঁছাবেন শান্তনা রায়।

Advertisement

বাংলাদেশ তায়কোয়ান্দো ফেডারেশন সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে চলে ২০ তম বিশ্ব তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা।

সেই প্রতিযোগিতায় লালমনিরহাটের শান্তনাসহ তিনজন প্রতিযোগী অংশ নেন। দলের সঙ্গে যান একজন কর্মকর্তা। বাংলাদেশের তিন প্রতিযোগীর মধ্যে শান্তনা জয় করেন বোঞ্জ পদক। প্রতিযোগিতায় শান্তনা (৭৫ ওয়েট ক্যাটাগরিতে) চেকপ্রজাতন্ত্রকে হারিয়ে বোঞ্জ পান।

শান্তনা রায় লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার হরিদাস গ্রামের সুবাস চন্দ্র রায়ের মেয়ে।

Advertisement

শান্তনা রায়ের পদক প্রাপ্তিতে লালমনিরহাটের জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন, জেলা ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশন, মহিলা ক্রীড়া সংস্থা, কালীগঞ্জ ও আদিতমারী উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা, উন্নয়ন ধারা লালমনিরহাট জেলা কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠন অভিনন্দন জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ফুটবল রেফারিজ অ্যাসোসিয়েশনের রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধি, লালমনিরহাট জেলা ফুটবল অ্যাসোসিশনের নির্বাহী সদস্য, ক্রীড়াসংগঠক আনিছুর রহমান লাডলা জানান, শান্তনা আমাদের দেশের গর্ব, পদকটি পেয়ে সে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে।

বাংলাদেশ আর্ন্তজাতিক তায়কোয়ানদো ফেডারেশন টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী জানান, শুক্রবার রাতে বিশ্বকাপে ফলাফল পেয়েছি তাতে আমাদের শান্তনা রায় (৭৫ ওয়েট ক্যাটাগরিতে) বোঞ্জ পদক পেয়েছে। যা আমাদের দেশে এটিই প্রথম।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক শফিউল আরিফ জানান, তার এই পদক প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। শান্তনা রায়কে দেখে আমাদের নারী খেলোয়াড়রা আরো উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত হবে।

Advertisement

উল্লেখ্য, শান্তনা ২০১৪ সালে নেপালের কাঠমুন্ডুতে অনুষ্ঠিত সপ্তম এশিয়ান তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিয়ে গোল্ড পেয়েছিলেন। এরপর ২০১৫ সালে ঢাকায় জাতীয় আইটিএফ তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় দেশে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়শিপ এবং ওয়ালটন জাতীয় তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়ে পদক পান।

রবিউল হাসান/এফএ/এমএস