মিয়ানমারের রাখাইনে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশার অবসান ঘটাতে মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল কামার জাবেদ বাজওয়া ও ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ হোসেইন বাকারি। রোহিঙ্গা নিপীড়নের ব্যাপারে রোববার টেলিফোনে আলাপকালে তারা এ আহ্বান জানান।
Advertisement
একই সঙ্গে দুই দেশের এ দুই সেনাপ্রধান রোহিঙ্গা নিপীড়নের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনীর চলমান নিপীড়নের অবসানে মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।
টেলিফোনে এ দুই সেনাপ্রধান মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের সহায়তায় দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। তারা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মিয়ানমারে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে চলমান ‘অমানবিক’ ও ‘অপ্রীতিকর’ পরিস্থিতি বন্ধে মুসলিম বিশ্বকে আরও কার্যকর ব্যবস্থা ও সতায়তার আহ্বান জানান।
ইরানি সংবাদ সংস্থা তাসনিম নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাজওয়া এবং বাকারি টেলিফোন আলোচনায় বলেন, মুসলিম দেশগুলোর সামরিক এবং বেসামরিক সংস্থাগুলো মিয়ানমারের নিপীড়িত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে তাদের সৈন্য ও সরঞ্জাম ব্যবহার করতে পারে।
Advertisement
মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা দেশটিতে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। ২০১২ ধর্মীয় সহিংসতার সময় তারা লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। এসময় শতাধিক রোহিঙ্গা মুসলিমকে হত্যা করা হয়; বাস্তুচ্যুত হয় প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলছে, রাখাইনের সাম্প্রতিক সহিংসতায় প্রায় ৪ লাখ ১০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement