সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ স্বাভাবিক নয়। এসব ব্যাংক নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ক্ষমতা বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এবং বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর মিরপুরে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) মিলনায়তনে মুদ্রানীতি (জুলাই-ডিসেম্বর) শীর্ষক এক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
কর্মশালায় ঘোষিত মুদ্রানীতি বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ। বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কর্মশালায় সূচনা বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সঞ্চয়পত্র থেকে অনেক বেশি অর্থ নেয়ার কারণে অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। তবে অনেকে এর ওপর নির্ভরশীল সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখতে হবে। এজন্য সঞ্চয়পত্রে সংস্কার আনা প্রয়োজন। গরিব এবং মধ্যবিত্তদের জন্য সেভিংস সার্টিফিকেট চালু করতে হবে। এতে সুদহার তুলনামূলক একটু বেশি রাখা যেতে পারে। অপর দিকে সেভিংস বন্ড হবে ধনীদের জন্য। এর সুদহার হবে ব্যাংক রেটের মতো। বিআইবিএমের এ চেয়ার প্রফেসর বলেন, প্রবৃদ্ধি শুধু অর্থ সরবরাহের ওপর নির্ভর করে না। বিনিয়োগকারীরা গ্যাস-বিদ্যুৎ পেলে আরও বেশি বিনিয়োগ হবে।
Advertisement
মূল আলোচক বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. ফয়সাল আহমেদ বলেন, উচ্চ প্রবৃদ্ধির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হয়েছে। বেসরকারি খাত বিনিয়োগের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ পাবে। তবে উচ্চ প্রবৃদ্ধি এবং বিনিয়োগের জন্য মুদ্রানীতির বাইরে আরও কিছু বিষয় রয়েছে। তিনি বলেন, সরকার বাজেটে ঘোষণা দিয়েও প্রয়োজন না হওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ব্যাংক ঋণ নিচ্ছে না। সরকার সঞ্চয়পত্র থেকে বেশি অর্থ নিচ্ছে। এত অর্থ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক-নেতিবাচক দিক পর্যালোচনা করতে হবে। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. ইয়াছিন আলি।
এসআই/ওআর/এমএস