লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার কৃষক পরিবারের মার্শাল আর্ট কন্যা সান্ত্বনা রানী রায়। এ বছর আমন্ত্রণ পেয়েছেন ২০তম তায়কোয়ান্দো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ২০তম তায়কোয়ান্দো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
Advertisement
উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের হরিদাস গ্রামের কৃষক সুবাস চন্দ্র রায় ও মা যমুনা রানীর মেয়ে সান্ত্বনা রানী রায়।
দরিদ্র কৃষক পরিবার মেয়ে সান্ত্বনা রানী রায় তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে মাস্টার্স পাস করে এলএলবি শেষ করছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন লালমনিরহাট জেলার প্রথম নারী খেলোয়র সান্ত্বনা রানী রায়। আগামী বুধবার সান্ত্বনা ঢাকা থেকে পিয়ংইয়ংয়ের উদ্দেশে রওনা হবেন।
সান্ত্বনা রানী রায় বলেন, ২০তম তায়কোয়ান্দো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়ে অর্থে অভাবে হতাশা হয়ে পড়ি। পরে সবার সহযোগিতায় তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ফি ও পোশাক-পরিচ্ছদের জন্য ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছে। এখন আমার অংশগ্রহণের স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে।
Advertisement
তিনি বলেন, আমি পিয়ংইয়ংয়ে বাংলাদেশের একজন তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগী হিসেবে খেলতে যাচ্ছি, যেন বাংলাদেশের সম্মান রাখতে পারি। সকলের প্রতি রইলো আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। আমার জন্য দোয়া ও আশীর্বাদ করবেন।
তুষভান্ডার মহিলা কলেজের প্রভাষক আব্দুল লতিব বলেন, সবার সহযোগিতায় সান্ত্বনা রানী রায় উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ে ২০তম তায়কোয়ান্দো বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে বুধবার ঢাকা ত্যাগ করবেন।
লালমনিরহাট সাপ্টিবাড়ী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ সুদান চন্দ্র রায় বলেন, সান্ত্বনা রানী তায়কোয়ান্দো প্রতিযোগিতায় বিজয় ছিনিয়ে এনে জেলাবাসীর মুখ উজ্জ্বল করবেন এটাই আশা করছি।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে সপ্তম এশিয়ান তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম হন সান্ত্বনা রানী রায়। ২০১৫ সালে ঢাকায় সপ্তম জাতীয় আইটিএফ তায়কোয়ান্দো চ্যাম্পিয়নশিপে তিনি সেরা খেলোয়াড় হন।
Advertisement
রবিউল হাসান/এফএ/আরআইপি