মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধিবাসীদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনীর চলমান হত্যা-নির্যাতনের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া এসব রোহিঙ্গাদের সবাইকে মিয়ানমারে ফিরতে দেয়া হবে না বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন মিয়ানমারের পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী ইন মিয়াট আয়। খবর বিবিসি।
Advertisement
ইন মিয়াট আয় বিবিসিকে বলেন, যেসব রোহিঙ্গা প্রমাণ করতে পারবে যে তারা মিয়ানমারে বাস করতেন এবং মিয়ানমারের নাগরিক, শুধু তারাই ফিরে আসতে পারবেন।
কিন্তু বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া বেশিরভাগ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দেয়া হয়নি। ফলে মন্ত্রীর এই বক্তব্যের ফলে মিয়ানমারে খুব কম সংখ্যক রোহিঙ্গা ফিরে যেতে পারবেন।
উল্লেখ্য, রাখাইন থেকে রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের লক্ষ্যে সম্প্রতি রাজ্যে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। গত ২৪ আগস্ট রাতে একযোগে কয়েকটি পুলিশ চেকপোস্টে বিদ্রোহী রোহিঙ্গারা হামলা করে। এতে নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েক সদস্যসহ বেশকিছু রোহিঙ্গা নিহত হয়।
Advertisement
ওই ঘটনার পর রোহিঙ্গাদের বাড়িঘরে আগুন, নারীদের ধর্ষণ ও হত্যা এবং গুলি করে রোহিঙ্গাদের হত্যাসহ ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু করে সেনাবাহিনী। প্রাণে বাঁচতে রাখাইন ছেড়ে বাংলাদেশ সীমান্তে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গারা। শুরুতে তাদের প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হলেও এখন বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। ফলে মাত্র দুই সপ্তাহে এ সংখ্যা ২ লাখ ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে আসা অধিকাংশ রোহিঙ্গাই নারী-শিশু ও বয়স্ক মানুষ। এরা সবাই পরিশ্রান্ত ও প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত। এসব মানুষ কয়েকদিন ধরে জঙ্গল, পাহাড় পেরিয়ে পায়ে হেঁটে, অনেকে নৌকায় চেপে কক্সবাজারে আসছে। নাফ নদী পাড়ি দিতে গিয়ে নৌকাডুবে প্রায় প্রতিদিনই মৃত্যু হচ্ছে রোহিঙ্গাদের।
এআরএস
Advertisement