মন্টু মিয়া রাজধানীর মিরপুরের বাসিন্দা। এক বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় খরগোশ ও কবুতর পালন শুরু করেন। প্রায় পাঁচ বছর যাবত তিনি এগুলো পালন করছেন। প্রথমে শখের বশে পোষা শুরু করলেও বাণিজ্যিক চিন্তা মাথায় রয়েছে। ভবিষ্যতে বাণিজ্যিকভাবে কবুতর ও খরগোশ পালন করার ইচ্ছা রয়েছে।
Advertisement
তিনি ৩ বছর যাবত খরগোশ পালন করছেন। একটি খরগোশ ১-২ মাস পর পর ৫-৬টি করে বাচ্চা দেয়। খরগোশ মূলত তৃণভোজী। এরা বাঁধাকপি, গাজর, শসা, ঘাস, শাক খায়। ফলে খাবারের খরচ খুবই কম। খরগোশের রোগ-ব্যাধি খুব কমই হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন- কোয়েলেই কোটিপতি শামীম
এছাড়া পাঁচ বছর আগে ছয়টি কবুতর দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তার কবুতর ৩৫টি। কবুতরের রানীক্ষেত, ঠান্ডা, পালসহ অনেক ধরনের রোগ হয়ে থাকে। রোগাক্রান্ত হলে নিজেই চিকিৎসা করেন। কিছু কমন পদ্ধতি ব্যবহার বা মেডিসিন প্রদান করেন।
Advertisement
তার বাসা থেকে ভেটেরিনারি চিকিৎসালয় দূরে হওয়ায় সেখানে কবুতর নিয়ে যেতে পারেন না। তাই চিকিৎসকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও চিকিৎসা-পরামর্শ নিয়ে থাকেন।
আরও পড়ুন- ছাগল পালনে স্টল ফিডিং পদ্ধতি
মন্টু মিয়া জানান, ভবিষ্যতে তিনি বাণিজ্যিকভাবে কবুতর পালন করবেন। দেশের অনেক স্থানেই কবুতরের হাট রয়েছে। রাজধানীতেও প্রায় ৭-৮টি কবুতরের হাট রয়েছে।
তার সংগ্রহে বর্তমানে বেশকিছু মূল্যবান ও উন্নত জাতের কবুতর রয়েছে। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে কবুতর পালনের ক্ষেত্রটি বেশ উজ্জ্বল।
Advertisement
এসইউ/আইআই