টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় চলন্ত বাসে গণধর্ষণের পর এক তরুণীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার বড় ভাই হাফিজুর রহমান।
Advertisement
গত শুক্রবার রাতে বনের সড়ক থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে মধুপুর থানা পুলিশ। ওই তরুণীর নাম রূপা খাতুন। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলার আছানবাড়ী গ্রামের জিলহাস প্রামানিকের মেয়ে।
গত শুক্রবার রাত ১১টার দিকে টাঙ্গাইল ময়মনসিংহ আঞ্চলিক মহাসড়কের মধুপুর উপজেলার পঁচিশ মাইল এলাকার বনাঞ্চলের রাস্তার পাশ থেকে এক তরুণীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকার খবর পায় মধুপুর থানা পুলিশ।
পরে মধুপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলামসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
Advertisement
ওই তরুণীর বড় ভাই সাবেক সংবাদকর্মী হাফিজুর প্রামানিক জানান, তার ছোট বোন রূপা খাতুন অনার্স শেষ করে ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে এলএলবি বিষয়ে অধ্যায়নরত ছিলেন। পাশাপাশি শেরপুর জেলায় ইউনিলিভার বাংলাদেশ প্রমোশনাল ডিভিশনে কর্মরত ছিলেন।
গত শুক্রবার শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশ নিতে তিনি বগুড়া যায়। পরে পরীক্ষা শেষে বগুড়া থেকে ময়মনসিংহগামী ছোয়া পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-৩৯৬৩) একটি বাসে তার এক সহকর্মীর সঙ্গে যাত্রা করে। তার সেই সহকর্মীর কর্মস্থল ঢাকায় হওয়ায় তিনি এলেঙ্গাতে নেমে যায় এবং রূপা ওই বাসেই ময়মনসিংহ যাচ্ছিলেন।
কিন্তু সঠিক সময়ে ময়মনসিংহ না পৌঁছায় তার সহকর্মীরা মোবাইলে ফোন করলে এক যুবক ফোনটি রিসিভ করে এবং রূপা ভুল করে ফোনটি ফেলে রেখে গেছে বলে জানিয়ে কেটে দেয়। এরপর থেকে ফোনটি বন্ধ রয়েছে।
শনিবার সকালে কর্মস্থলে না পৌঁছায় ইউনিলিভার বাংলাদেশের শেরপুর অফিস থেকে রূপার বড় ভাই হাফিজুর প্রামানিকের মোবাইলে রূপা কর্মস্থলে না ফেরার বিষয়টি অবগত করে তারা। পরবর্তীতে রূপার মোবাইলে যোগাযোগ করতে না পেরে তার বড় ভাই ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
Advertisement
সোমবার গণমাধ্যমের খবর পড়ে তিনি মধুপুর থানায় এসে রক্তাত্ত অবস্থায় পড়ে থাকা তরুণীর মরদেহের ছবি দেখে তার বোন বলে শনাক্ত করেন। এ সময় তিনি রূপার কর্মস্থলের সহকর্মীদের দেয়া তথ্য থানা পুলিশকে অবগত করেন।
মধুপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সফিকুল ইসলাম, ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম, অরণখোলা পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরিফ উর রহমান টগর/এএম/আরআইপি