দু’জন নারী ভক্তকে ধর্ষণের অভিযোগে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ভারতের স্বঘোষিত আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু গুরমিত রাম রহিম সিং। শুক্রবার চণ্ডিগড়ের পাঁচকুলার একটি বিশেষ আদালত ওই রায় ঘোষণা করেছে। ধর্ষণের দায়ে গুরমিতের সাজা কী হবে, সোমবার আদালত সেই সিদ্ধান্ত জানাবে।
Advertisement
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরপরই সহিংসতা শুরু করেন রাম রহিম সিংয়ের ভক্তরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ১১ জন নিহত এবং দুই শতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সেক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
রায় ঘোষণার আগে থেকেই পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্য জুড়ে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। একইসঙ্গে এলাকাগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। রাম রহিম সিংয়ের ভক্তরা বিক্ষোভ শুরু করলেই পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
Advertisement
সহিংসতা শুরুর আশঙ্কায় শুক্রবার সকাল থেকেই পাঁচকুলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করে রাখা হয়েছে। হরিয়ানা ও পাঞ্জাবে মোতায়েন করা হয় ৫০ হাজার পুলিশ। নিহতের ঘটনা ঘটেছে ওই এলাকাগুলোতেই।
১৪৪ ধারা জারি করার পাশাপাশি ৪৮ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে রাজস্থানের শ্রী গঙ্গানগর ও হনুমানগড়ে। পুলিশ একটি স্টেডিয়ামও অধিগ্রহণ করে রেখেছে বহু লোককে গ্রেফতার করার আশঙ্কায়।
নিজের সাংগঠনিক দফতর থেকে শ’খানেক গাড়ি নিয়ে পাঁচকুলা আদালতে পৌঁছান রাম রহিম সিং। তবে শেষ পর্যন্ত আদালতে চত্বরে প্রবেশের অনুমতি পায় মাত্র দুটি গাড়ি।
রাম রহিম সিংয়ের বিরুদ্ধে যে দুজনকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে, সেটা ১৫ বছর আগের ঘটনা। ২০০২ সালে এই ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করে সিবিআই। সেটাও অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির চিঠির সূত্র ধরে। ১৯৯৯ সালে নিজের আশ্রমে দুই নারীকে তিনি ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ করা হয়।
Advertisement
২০০৭ সাল থেকে শুনানি চলার পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট দোষী সাব্যস্ত করা হয় ধর্মগুরুকে। তবে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি, আনন্দবাজার, এনডিটিভি, নিউজ ১৮ ডটকম
কেএ/পিআর/আইআই