উত্তপ্ত রাইাইনে জঙ্গি হামলার ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২। এর মধ্যে ১১ জনই পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পাঁচ পুলিশ এবং সাত জঙ্গি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সহিংসতায় আরো বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।
Advertisement
জঙ্গিরা ২৪টি পুলিশ পোস্টে হামলার চেষ্টা করে। তারা সেনা ঘাঁটিতে ঢুকে পড়ারও চেষ্টা চালায়। এদিকে, চলতি মাসে রাখাইন প্রদেশে সেনা মোতায়েন করার পর থেকেই ওই এলাকা থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা।
চলতি সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ হাজার ৫শ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পৌঁছেছে। বাংলাদেশ-মিয়ানমারকে বিভক্ত করা নাফ নদীর কাছাকাছি কক্সবাজার এলাকায় ইতোমধ্যেই শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে অতিরিক্ত লোকজনে গাদাগাদি করে থাকছে। সেখানে আরো রোহিঙ্গারা এসে আশ্রয় নিচ্ছে ফলে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
মিয়ানমারের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন প্রদেশে ১০ লাখের বেশি মুসলিম রোহিঙ্গার বসবাস। সরকার ওই অঞ্চলে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে এমন অভিযোগে সেখান থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে আতঙ্কিত রোহিঙ্গারা।
Advertisement
ওই অঞ্চলে সেনাবাহিনী ব্যাপক নিপীড়ন, হত্যা, গণধর্ষণ এবং গ্রামের বাড়ি-ঘর পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ এনেছে রোহিঙ্গারা।
সরকারি এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চরমপন্থী বাঙালী বিদ্রোহীরা উত্তরাঞ্চলীয় রাইন প্রদেশের মাওংদাউ এলাকার একটি পুলিশ স্টেশনে হাতে তৈরি বোমা দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তারা আরো বেশ কয়েকটি চেক পোস্টেও হামলা চালিয়েছে।
সরকার রোহিঙ্গাদের বোঝাতে বাঙালী শব্দটি ব্যবহার করেছে কারণ তারা বরাবরই বলে আসছে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ থেকে আগত শরণার্থী। তারা মিয়ানমারের বাসিন্দা না।
সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ মিন অং হলেইং সামাজিক মাধ্যমে একটি বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন, এক সেনা, ১০ পুলিশ সদস্য এবং ২১ জঙ্গি ওই হামলায় নিহত হয়েছে। ১৫০ জঙ্গি এসব হামলায় অংশ নিয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এর আগে গত বছরের অক্টোবরে একই ধরনের হামলায় ১০ পুলিশ সদস্য নিহত হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রাখাইনে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার সরকার। সেনাবাহিনীর অত্যাচার, নিপীড়ন থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।
Advertisement
টিটিএন/আইআই