দেশজুড়ে

চিন্তা কেবল ভারতীয় গরু

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসছে। ফলে পশুর হাটগুলোতে দামও রয়েছে স্বাভাবিক। এই গরু আসা অব্যাহত থাকলে দাম আরও কমবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। ভারত থেকে গরু আসার কারণে আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছেন জেলার গরু খামার মালিকরা।

Advertisement

শিবগঞ্জ উপজেলার অহেদপুর ও রঘুনাথপুর সীমান্তের দুটি বিট বা খাটাল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার গরু আসছে। খাটাল ছাড়াও সীমান্তের বিভিন্ন জায়গা দিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বন্যার পানিতে গরু ভাসিয়ে নিয়ে আসছে চোরাকারবারিরা।

জেলার সর্ববৃহৎ তর্তিপুর পশুহাটসহ মনাকষা পশুহাট, খাসের হাট, সোনাইচন্ডি পশুহাট, বটতলা হাট, রামচন্দ্রপুরহাটসহ বিভিন্ন পশুহাটে দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরু বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় গরু থাকায় গরুর দাম গতবারের চেয়ে এবার অনেক কম রয়েছে বলেও মনে করছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা।

কাস্টমস সূত্র জানায়, ২০১৬ সালের জুলাই ও আগস্ট দুই মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে গরু এসেছিল প্রায় ১৩ হাজার। আর এবছর শুধু জুলাই মাসে গরু এসেছে সাড়ে ৬৮ হাজার।

Advertisement

জেলায় এবছর কোরবানির জন্য যে পরিমাণ দেশি গরু রয়েছে তা জেলার চাহিদা মিটিয়ে বাইরে পাঠানো যাবে বলে জানান খামার মালিকরা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের খামার মালিক হাসানুল হক বান্না জানান, তার খামারে এবছর ২৬টি গরু কোরবানিতে বিক্রির জন্য মোটাতাজা করেছেন। গরুর দাম ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার পর্যন্ত। গরুর খাবারের দাম ও শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় এবছর গরু পালতে খরচ হয়েছে আন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি।

এদিকে অন্যান্য বছর গরুর পাইকাররা গরু কেনার জন্য অগ্রিম টাকা দিয়ে যেত। কিন্তু এবছর কোরবানির আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। এখন পর্যন্ত কোনো পাইকার আসেনি তার খামারে। তাই গরু নিয়ে ঢাকায় যাবেন। সেখানেও যদি বিক্রি করতে না পারেন বা সঠিক দাম না পান তাহলে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়বেন বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, গত বছর ভারত থেকে গরু কম আসার পরও কিছু কিছু খামারে গরু থেকে গিয়েছিল। এখন ভারত থেকে যে পরিমাণে গরু আসছে তাতে করে দেশি গরুর দাম কমে যাবে। এতে করে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।

Advertisement

এছাড়াও গ্রামের অনেকেই তাদের বাড়িতে দু’ একটা করে গরু মোটাতাজা করেছেন কোরবানিতে বিক্রি করার জন্য। ভারতীয় গরু আমদানির কারণে তারাও রয়েছেন আর্থিক ক্ষতির আশংকায়।

আব্দুল্লাহ/এফএ/আরআইপি