দেশজুড়ে

শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততায় সাতক্ষীরার খামারিরা

আসছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছেন খামারিরা। অনেক বেকার যুবকও বাড়তি আয় করতে মনোনিবেশ করেছেন এ কাজে। কিছুদিন পর থেকেই ক্রেতারা ভিড় করতে শুরু করবে খামারির বাড়িতে। কেউ বাড়ি থেকে বিক্রি করবেন এসব গরু আবার কেউ নিয়ে যাবেন হাটে।

Advertisement

সাতক্ষীরা সদরের খামারি কাদের আলী মিয়া বলেন, পাঁচ বছর যাবৎ দেশীয় ফর্মুলায় গরু মোটাতাজাকরণ করে আসছি। এ বছর আঠটি গরু প্রস্তুত করেছি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে বাইরে থেকে কাস্টমার আসা শুরু করবে।

ব্যবসায়ী ছগির মিয়া বলেন, অনেক বেকার যুবক মৌসুমি এ ব্যবসা করে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এর মাঝে অনেক বাধা আছে। খাদ্যমূল্যেও ঊর্ধ্বগতি। সরকার যদি এদিকে খেয়াল করে, কম সুদে ঋণ প্রদান করে তাহলে আমরা দেশি গরু চাষ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাইরেও পাঠাতে পারব।

গৃহকর্মী ছালেহা বেগম জানান, গরুগুলোকে খড়, ঘাস, ভুট্টারগুড়া, পালিশ, ভুসি খাওয়ানো হচ্ছে। কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করছেন। আর এখন যদি ভারতীয় গরু ঢোকে তাহলে খামারিদের ক্ষতি হয়ে যাবে। এ বিষয়ে সরকার যদি একটু সচেতন হয় তাহলে খামারিরা বেঁচে যাবে। গত দুই বছর যাবত ভারতীয় গরু অনুপ্রবেশ না হওয়ায় এখানকার খামারিরা গরু-ছাগল পালনে উদ্বুদ্ধ হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সমরেশ চন্দ্র দাশ জাগো নিউজকে বলেন, জেলায় প্রাণিসম্পদের তত্ত্বাবধানে ৮ হাজার একশ চল্লিশ জন খামারি, ২২ হাজার ১১৪টি গরু, ১৫ হাজার ৬৫১টি ছাগল এবং ৫ হাজার ৫৩৫টি ভেড়া প্রস্তুত করেছেন। সব মিলিয়ে ৫৩ হাজার ৫৩টি গরু কোরবানির জন্য প্রস্তুত।

Advertisement

তিনি আরো বলেন, আশা করছি সাতক্ষীরা জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গরু-ছাগল কোরবানির জন্য পাঠানো সম্ভব হবে। হরমোন স্টেরয়েড ও বিভিন্ন ক্যামিকেল ব্যবহার করে কেউ যাতে পশু হৃষ্টপুষ্ট না করতে পারে সে ব্যাপারে প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রশিক্ষণ পরামর্শ ও নজরদারি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রত্যেকটি পশুহাটে মেডিকেল টিম নজরদারিতে থাকবে।

আকরামুল ইসলাম/এফএ/আইআই