অর্থনীতি

প্রতিটি কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রাখতে হবে : চুন্নু

যেসব কারখানায় ৪০ বা এর বেশি নারী কাজ করেন সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক চুন্নু।

Advertisement

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্রেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন এবং ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগে ‘মাদারস ওর্য়াক : কর্মক্ষেত্রে মায়েদের অধিকার এবং শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

মুজিবুল হক বলেন, বাংলাদেশ শ্রম আইনের ৯৪ ধারা অনুযায়ী যেসব কারখানায় ৪০ জনের বেশি নারী শ্রমিক রয়েছে, সেখানে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখভালের জন্য কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে নির্দেশ দেন তিনি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রম আইন অনুযায়ী কলকারখানায় কর্মরত নারী শ্রমিক ১৬ সপ্তাহের মাতৃত্বকালীন ছুটি পাবেন। এটি তাদের আইনগত অধিকার।

Advertisement

তিনি বলেন, কর্মক্ষেত্রে মায়েদের ছয় মাস পর্যন্ত সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে সচেতনতামূলক বেশি বেশি প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শ্রমিকদের সচেতনতার বিষয়ে সরকারের সঙ্গে ইউনিসেফ, আইএলওসহ দাতা সংস্থাগুলোকে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

গার্মেন্টস শিল্পে কর্মরত প্রায় ৩২ লাখ নারীর মধ্যে শতকরা ১৫ জনের বেশির বয়স ১৬ থেকে ৩১ বছরের মধ্যে। প্রজননক্ষম এসব নারী কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে অধিকার সম্পর্কে আরও জানতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারখানায় কর্মরত নারীদের সন্তানদের বুকের দুধ খাওয়ানোর সুব্যবস্থা করলে মালিক-শ্রমিকদের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার সম্পর্ক তৈরি হবে। এতে কারখানার উৎপাদনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এ ধরনের একটি অতিপ্রয়োজনীয় মহতি উদ্দ্যোগ গ্রহণের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ইউনিসেফসহ অন্যান্য দাতা সংস্থাগুলোকে ধন্যবাদ জানান প্রতিমন্ত্রী।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপচিালক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব রুহুল আমিন তালুকদার, বিজিএমই-এর পরিচালক সাইফ উদ্দিন, বাংলাদেশ এমপ্লেয়ার্স ফেডারেশনের সহসভাপতি আর্দাশীর কবির, বিকেএমই-এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা শামসুন নাহার ভূঁইয়া, আইএলও-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রী নিবাস বি রেড্ডি এবং ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি মি. এডউয়ার্ড বেগবেডার বক্তৃতা করেন।

Advertisement

এমইউএইচ/এএইচ/আরআইপি