মুসলিম উম্মাহর ইবাদতের মর্যাদাশীল সর্বোচ্চ স্থান পবিত্র কাবা শরিফ। দুনিয়াতে কাবা শরিফ আল্লাহ তাআলার প্রথম ঘর। এ ঘর তৈরি করা হয়েছে মানুষের ইবাদতের জন্য। আল্লাহর সঙ্গে মানুষের প্রেমের নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য।
Advertisement
এ ঘরের রয়েছে অসামান্য মর্যাদা ও সম্মান। এ ঘরকে কেন্দ্র করেই ধাপে ধাপে সম্মানিত করা হয়েছে সমগ্র আরব উপদ্বীপকে। পবিত্র নগরী মক্কাকে মর্যাদাশীল করার ধারাবাহিকতা হলো এ রকম-
>> মসজিদুল হারামকে কাবা শরিফের আঙ্গিনা বানিয়েছেন। অর্থাৎ কাবা শরিফের চার পাশে গড়ে ওঠা মসজিদে হারাম হলো বাইতুল্লাহর আঙ্গিনা। এ কারণে মসজিদে হারাম মর্যাদা ও সম্মানজনক স্থান।
>> আর পবিত্র নগরী মক্কাকে করেছেন মসজিদে হারামের আঙ্গিনা। মক্কা মসজিদে হারামের আঙ্গিনা হওয়া মক্কাও সম্মানিত ও মর্যাদাবান স্থান।
Advertisement
>> পবিত্র নগরী মক্কার আঙ্গিনা হলো হজ ও ওমরার ইহরাম বাঁধার স্থান মিকাতসমূহ। যেখান থেকে হজ ও ওমরা পালনকারীরা ইহরাম বাঁধেন। ইহরামের স্থান মক্কার আঙ্গিনা হওয়ায় মিকাতও মর্যাদার দাবি রাখে।
>> সর্বোপরি সমগ্র আরব উপদ্বীপ হলো ইহরাম বাঁধার স্থান মিকাতসমূহের আঙ্গিনা। মিকাতসমূহের আঙ্গিনা হওয়ায় আল্লাহ তাআলা সমগ্র বিশ্বের ওপর আরব উপদ্বীপকে করেছেন সম্মানিত ও মর্যাদাবান।
আর এ কারণেই মুসলিম উম্মাহ অন্য রতম আবেগ ও অনুভূতি প্রকাশ পায় আরব উপদ্বীপের ওপর। এসবই হলো আল্লাহর ঘর কাবা শরিফ ও বাইতুল হারামের মর্যাদা ও সম্মানের জন্য। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘নিঃসন্দেহে সর্ব প্রথম ঘর যা মানুষের জন্যে মক্কায় নির্মাণ করা হয়েছে। ইহা বিশ্ব জাহানের জন্য হেদায়েত ও বরকতময়। এতে রয়েছে ‘মাকামে ইবরাহিম’-এর মত প্রকৃষ্ট নির্দিশন। আর যে লোক এর ভিতরে প্রবেশ করেছেন সে নিরাপত্তা লাভ করেছে। আর যে সব মানুষ আল্লাহর ঘরপর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ ঘরের হজ করা তাদের প্রতি ফরজ। যদি কেউ অস্বীকার করে তবে নিশ্চয়ই আল্লাহ সমগ্র বিশ্ববাসী হতে প্রয়োজনমুক্ত।’ (সুরা আল ইমরান : আয়াত ৯৬-৯৭)
উল্লেখিত আয়াত দ্বারাও প্রমাণিত যে পবিত্র মক্কা নগরী আল্লাহর নিকট অনেক মর্যাদাবান। সমগ্র বিশ্ব থেকে এ কারণেই বছরব্যাপী ওমরা পালন এবং বছরে এক বার মানুষ হজ পালনে বাইতুল্লায় এসে হাজির হয়।
Advertisement
মুসলিম উম্মাহর উচিত এ পবিত্র নগরী মক্কা মুকাররমার মর্যাদা সম্মান রক্ষা করা। আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র নগরী মক্কা, কাবা শরিফ, মদিনা শরিফসহ হজের সব নিদর্শনসমূহের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/জেআইএম