বাবা-মা, পরিবার-পরিজনের মুখে হাসি ফোটাতে স্বদেশ ছেড়ে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন বাংলাদেশের যুবকেরা। প্রবাস জীবনের শুরুতেই বারবার মনে পড়ে প্রিয় মাতৃভূমি ও কাছের মানুষের কথা। স্বপ্ন, শক্তি-সাহসই হয় প্রবাসীর সহযাত্রী।
Advertisement
১০-১২ ঘণ্টা বা এর চেয়েও বেশি সময় দেন হাড়ভাঙা খাটুনিতে। স্বপ্ন পূরণের প্রত্যয়ে। পরিবারের সদস্যদের স্বপ্ন পূরণেই ব্যস্ত প্রবাসীরা। পরিবারের সদস্যদের মুখের হাসি দেখে প্রবাসীর শরীরে কষ্টের ঘাম শীতল অনুভব হয়। তখন কাজকে আর কঠিন মনে হয় না।
প্রবাসীরা দেশের অর্থনৈতিক চাকাকে সচল রেখেছেন। কয়দিন বাকি ঈদের। পরিবার-পরিজনদের রেখে প্রবাসেই ঈদ করবেন অনেকে। বেশিরভাগই বৈধ ভিসা না থাকায় যেতে পারছে না নিজের দেশে। আবার কেউ কেউ নতুন পারমিটের জন্য কাগজপত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু এখনও পাসপোর্ট হাতে পাননি।
আবার অনেকে ছুটির পারমিট পাননি। বাবা-মার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করবেন কিন্তু তা আর হলো না কাগজহীন প্রবাসীদের। যারা বেতন পাননি তারা বন্ধুর কাছ থেকে ধার করে টাকা পাঠিয়েছেন দেশে বাবা-মার হাসিমুখ দেখার জন্য।
Advertisement
পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে না পেরে কষ্ট মনের ভেতর চেপে রাখেন তারা। প্রবাসী মাসুদুল আলম ও পারভেজ এ প্রতিবেদককে জানান, ইচ্ছা ছিল দেশে গিয়ে মা-বাবা, পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করব। কিন্তু সেটা আর হলো না। মালিকের কাছে আবেদন করেও লাভ হয়নি। ছুটি দেয়নি।
এমআরএম/আরআইপি