পবিত্র নগরী মদিনা মুনাওয়ারা সব সময়ই আশেকে রাসুলের পদচারণায় থাকে মুখরিত। হজ সময় এ ভিড় বেড়ে যায় প্রায় ৩০-৪০গুণ বেশি।
Advertisement
সারা বিশ্ব থেকে হজ উপলক্ষ্যে মুসলিম উম্মাহ আসে পবিত্র নগরী মক্কায়। আর যারা প্রথম দিকে হজে আসেন তাদের গন্তব্যস্থল হলো মদিনা মুনাওয়ারা।
তাদের অনেকেই মদিনার মসজিদে নববিতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। অর্থাৎ তারা সেখানে ন্যূনতম ৮ দিন অবস্থান করেন।
জিয়ারতকারীদের মদিনায় যাওয়ার মূল উদ্দেশপ্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর রওজা শরিফ জিয়ারত করা। রওজা শরিফের পাশে দাঁড়িয়ে সালাত ও সালাম প্রদান করা। হৃদয়ে লালিত প্রিয়নবির প্রতি ভালবাসার স্বাদ গ্রহণ করা।
Advertisement
রওজার পাশে দাঁড়িয়ে সালাম প্রদানে প্রিয়নবি সারাসরি সালাম প্রদানকারীর সালামের উত্তর দেন। খাঁটি মুমিন বান্দা ও আশেকে রাসুল তাদের অন্তর দিয়ে সালাম আদান-প্রদানের বিষয়টি উপলব্ধি করেন।
এ এক অনন্য পাওয়া। যা শুধুমাত্র আশেকে রাসুলই অনুভব করতে পারে। আর সবুজ গম্বুজের আশেকদের চাওয়া-পাওয়াও তাই যে, তারা প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রওজা শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে প্রিয়নবির ফায়েজ, বরকত ও ভালবাসা গ্রহণ করবে।
জিয়ারতকারীদের মদিনায় যাওয়ার দ্বিতীয় উদ্দেশমসজিদে নববিতে নামাজ আদায় করা। অনেকে মসজিদে নববিতে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। মদিনায় নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে নামাজ আদায়ের তুলনায় সাওয়াব অনেক বেশি। এ প্রসঙ্গে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ফজিলত বর্ণনা করেছেন-
>> হজরত ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আমার মসজিদে এক ওয়াক্ত নামাজ আদায় করলে অন্যান্য মসজিদ থেকে এক হাজারগুণ বেশি সওয়াব রয়েছে। তবে মাসজিদে হারাম (বাইতুল্লহ) ব্যতিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
Advertisement
>> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘আমার ঘর ও মিম্বারের মাঝখানে জান্নাতের একটি বাগান আছে। আর আমার মিম্বার আমার হাউজের ওপর অবস্থিত।’ (বুখারি ও মুসলিম)
আর এ কারণেই আশেকে রাসুলগণ সবুজ গম্বুজের ভালবাসায় সব সময় থাকে আত্মহারা পাগলপারা। তাই হজে গমনকারী প্রত্যেক মুমিন মুসলমানের একান্ত ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষা হলো মদিনা জিয়ারত ও তথা নামাজ আদায় করা।
সুতরাং প্রত্যেক মদিনা জিয়ারতকারীর উচিত, মসজিদে নববিতে প্রিয়নবির রওজা শরিফের সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর সালাত ও সালাম প্রদান করা। প্রিয়নবির ভালবাসার অনন্য পরশ গ্রহণ করা।
মসজিদে নববিতে ফরজ নামাজ আদায়সহ নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-ইস্তেগফার ও দরূদ শরিফ বেশি বেশি আদায় করা।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে পবিত্র নগরী মদিনা মুনাওয়ারা জিয়ারত করার তাওফিক দান করুন। প্রিয়নবির দিদার ও শাফায়াত দান করুন। আমিন।
এমএমএস/পিআর