তিনদিনের লাগাতার বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে ভারতের উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা। পাহাড়ে ধসে ইতোমধ্যেই দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া বন্যার পানিতে ডুবে দুই শিশুসহ তিনজন নিহত হয়েছে। - খবর আনন্দবাজার।
Advertisement
গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গে ৫০০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। টানা এ বর্ষণে ফুঁসে ওঠেছে ২০টি নদীর পানি। এর মধ্যে চারটি নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এ অবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রোববার উত্তরবঙ্গের দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব।
খবরে জানানো হয়েছে, টানা বৃষ্টিতে ধস নামায় দার্জিলিং শহরের বেশ কয়েকটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুখিয়াপোখরিতে পাহাড়ের মাটি চাপায় এক মহিলার মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া কালজানিতে প্লাবিত এলাকার ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে যাওয়ার সময় মৃত্যু হয়েছে কোচবিহারের তুফানগঞ্জের যুবক প্রসেনজিৎ রায়ের (১৯)। জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ির মালকানি পাড়ায় পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে আরও দুই শিশুর।
এ ছাড়া টানা বৃষ্টিতে গত রাত থেকে কালজানি, সংকোশ, রায়ডাক, তোর্সা, ডিমা, বাসরাসহ ছোট বড় সব নদীর পানি বাড়ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি পরিবার। অনেক এলাকায় মোবাইল নেট সংযোগও বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, ভারতে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারতের দৌমহনী থেকে পানি ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে। এ অবস্থায় তিস্তার উজানে ভারতের অংশে ভারতীয় সেচ মন্ত্রণালয় শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে। পাশাপাশি তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে বিশেষ সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে।
আরএস/আইআই