ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে মহাসড়কে আটকা পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যান চলাচল বৃদ্ধি পায়। শুক্রবার ভোর থেকে চন্দ্রা এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা এগারটা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় যানজট দেখা গেছে।
Advertisement
পুলিশ ও যানজটে ভুক্তভোগীরা জানান, বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উত্তরাঞ্চলগামী মানুষের চাপ বাড়তে থাকে। এ কারণে সন্ধ্যার পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপও কয়েকগুন বেড়ে যায়। এরই মধ্যে রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। মহাসড়কে খানা খন্দক ও টানা বৃষ্টির কারণে চালকরা যানবাহনের গতি কমিয়ে দেন। ফলে যানবাহনের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট এক পর্যায় মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে মির্জাপুরের ধল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার এলাকায় স্থায়ী হয়।
সকাল সাড়ে ১০টায় মহাসড়কের মির্জাপুর বাইপাস এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, টাঙ্গাইলের দিকে যানবাহনের চাকা ঘুরলেও ঢাকার দিকের যান কয়েক মিনিট চলার পর আবার বন্ধ হচ্ছে। বৃষ্টি এবং যানজটে আটকা পড়ে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ঢাকাগামী ট্রাকের চালক মশিউর রহমান, যাত্রীবাহী বাসের চালক বেল্লাল হোসেন জানান, যানজটের কারণে তারা ধল্যা বাসস্ট্যান্ড থেকে মির্জাপুর পর্যন্ত মাত্র ছয় কিলোমিটার রাস্তা আসতে তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগেছে।
Advertisement
মির্জাপুরের ট্রাফিক ইনস্পেক্টর মো. সেলিম হোসেন জানান, বৃষ্টির কারণে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কের চন্দ্রা এলাকায় যান চলাচল বন্ধ থাকার কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। তাছাড়া চালকদের উল্টো পথে গাড়ি চালানো, মির্জাপুরের কুমারজানি এলাকায় মহাসড়কের উপর একটি গাড়ি বিকল হওয়াতে এই যানজট স্থায়ী হয়। পুলিশ যানজট নিরসনে কাজ করছেন বলে তিনি জানান।
এস এম এরশাদ/এফএ/আইআই