ভিসা হওয়ার পরও নির্ধারিত কোটার শতকরা ৯০ ভাগ হজযাত্রী সৌদি আরব পাঠায়নি পৌনে চারশ হজ এজেন্সি। অন্যদিকে যাত্রী সঙ্কটে এখন পর্যন্ত (১০ আগস্ট) ২৭টি সিডিউল হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে।
Advertisement
জানা গেছে, চলতি বছর মোট ৩৭৭টি এজেন্সির সর্বোচ্চ ২৬৪ জন থেকে সর্বনিম্ন ছয়জন পর্যন্ত হজযাত্রীর ভিসা থাকার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে যাত্রী না পাঠানোর ফলে হজ ফ্লাইটের সিডিউলে এ বিপর্যয়। পর্যাপ্ত সংখ্যক হজযাত্রীর অভাবে বাতিল হচ্ছে একের পর এক ফ্লাইট।
ধর্ম মন্ত্রণালয়াধীন হজ অফিসের পরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, ইমিগ্রেশন থেকে প্রাপ্ত তালিকায় পৌনে চারশর বেশি এজেন্সি ভিসা থাকা সত্ত্বেও ৯০ ভাগ হজযাত্রীকে সৌদি আরব পাঠায়নি। এ কারণেই হজ ব্যবস্থাপনায় বিঘ্ন হচ্ছে। এসব এজেন্সির যাত্রীদের কোন এয়ারলাইন্স কত তারিখের জন্য বুকিং দিয়েছে এর প্রমাণপত্রসহ হজ অফিসে আজই (বৃহস্পতিবার) দাখিল করতে বলা হয়েছে।
ধর্ম সচিব মো. আবদুল জলিল রোববার জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছিলেন, ভিসা হওয়ার পরও অনেক এজেন্সি তাদের যাত্রীদের সৌদি আরব পাঠাচ্ছে না। তারা কোন যাত্রীর জন্য কত তারিখে টিকিট বুকিং দিয়েছিল- সে সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে।
Advertisement
গত ২৪ জুলাই হজ ফ্লাইট শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত বাতিল হওয়া ২৭টি ফ্লাইটের মধ্যে ২৩টি বিমান বাংলাদেশের এবং চারটি সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের। এসব ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় ১৫ দিনে বিমানের ক্ষতি হয়েছে ৪৪ কোটি টাকা।
বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোসাদ্দিক আহম্মেদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এ ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রকাশিত হজ বুলেটিন সূত্রে জানা গেছে, ৯ আগস্ট বুধবার পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় তিন হাজার ৩৩৮ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৮ হাজার ৪৫৩ জনসহ মোট ৫১ হাজার ৭৯১ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার পর্যন্ত ৮৫ হাজার ৬৮৬ জনের ভিসা হয়েছে। এছাড়া ১১ হাজার ১১৮ জনের ভিসা প্রক্রিয়াধীন। বিপুল সংখ্যক এ হজযাত্রীর ভিসা থাকার পরও যাত্রীর অভাবে বাতিল করতে হচ্ছে ফ্লাইট।
Advertisement
এমইউ/আরএস/এমএআর/পিআর