মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে আরব দেশগুলোর সংকটের মধ্যেই দেশটিতে সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে তুর্কি বাহিনী। কাতারের গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর। আরব বিশ্বের দেশগুলোর সঙ্গে কাতারের এমন সংকটের মধ্যেই সোমবার যৌথভাবে সামরিক মহড়ায় অংশ নিলো কাতার এবং তুরস্কের সেনারা।
সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগ এনেই দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে আরব দেশগুলো। কিন্তু বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে কাতার।
কাতারের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক, কৌশলগত এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নেই কাতারের সেনাবাহিনীকে সহায়তা করতেই ওই সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছেন দু’দেশের সেনারা।
Advertisement
এর আগে গত জুনের ৭ তারিখে কাতারের একটি সেনাঘাঁটিতে কয়েকশ সেনা মোতায়েনের বিষয়ে অনুমোদন দেয় তুরস্কের পার্লামেন্ট। এর পরেই দেশটিতে সেনা মোতায়েন করে তুরস্ক।
২০১৪ সালে দু’দেশের মধ্যে হওয়া চুক্তির অংশ হিসেবেই কাতারে সেনা পাঠিয়েছে তুরস্ক। এর মাধ্যমে কাতারের প্রতি সমর্থনের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসল। তবে কাতারে আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের একটি বড় বিমান ঘাঁটি রয়েছে।
আঙ্কারা বলছে তারা কাতারে ৩ হাজার সেনা পাঠাবে। এই বিপুল সংখ্যক সেনা কাতারে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে এবং কাতারের সঙ্গে সন্ত্রাসবিরোধী পরিকল্পনায় অংশ নেবে।
সৌদি, আরব আমিরাত, বাহরাইন এবং মিসর কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পরপরই কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক।
Advertisement
টিটিএন/এমএস