আইন-আদালত

আদালত পরিবর্তনে খালেদার আবেদনের শুনানি মুলতবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি মঙ্গলবার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আংশিক শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আগামীকাল পরবর্তী শুনানির জন্য এই দিন ধার্য করেন।

আদালতে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। খালেদার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল।

এর আগে ৬ আগস্ট রোববার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের আবেদন জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে হাইকোর্টে আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

Advertisement

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। এর আগেও ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার আবেদনে এই মামলায় বিচারক ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কামরুল হোসেন মোল্লা আদালত পরিবর্তন করে ড. আখতারুজ্জামানের কোর্টে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এতো দিন এই আদালতে মামলার কার্যক্রম চলার পর এখন আবার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আবারও বিচারক পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে। খালেদার অপর আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে রোববার হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে খালেদা জিয়ার পক্ষে। সোমবার হাইকোর্টের উক্ত বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর প্রথমদিনে আংশিক শুনানি শেষে আগামীকাল আবারও শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।

জিয়া অরফানেজ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।

জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

Advertisement

এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি