কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত দোষীদের শাস্তি চাইলেন হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামিরা। এ সময় তারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধেরও দাবি জানান।
Advertisement
সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে দিয়াজ হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ও হয়রানিমূলক আচরণ বন্ধের দাবিতে ‘রেসকোর্স’ নামে একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছিররের অনুসারী ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তরা প্রথম ও দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দুই ধরনের হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন তুলে তা তদন্ত করতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘটনার দিন দিন কার কোথায় অবস্থান ছিল তা নির্ণয় করে প্রকৃত দোষীদের খুঁজে বের করতে বলেন।
মানববন্ধনে চবি ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আলমগীর টিপু বলেন, দিয়াজের বিষয়টি নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। মামলায় আমাদের ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সাক্ষী এখনো বলতে পারিনি আমাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। বরং প্রতিনিয়ত সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।
Advertisement
দিয়াজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি বলেন, সায়মা জেরিন প্রিয়ংকার সঙ্গে দিয়াজের একটি সম্পর্ক ছিল। তাও তদন্তে খতিয়ে দেখতে হবে। মেয়েটি কেন আড়ালে সে বিষয়েও প্রশ্ন তুলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আপনাদের নিশ্চিত করছি দেশ ছেড়ে যাব না। প্রয়োজনে আমার পাসপোর্ট আপনাদের কাছে জমা রাখব। তদন্তের জন্য সিআইডি মঙ্গলগ্রহে যেতে হলেও যাব।
এদিকে, স্থগিত কমিটির বহিষ্কৃত যুগ্ম-সম্পাদক আবু তোরাব পরশের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তৃব্য রাখেন স্থগিত কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি মনসুর আলম, সহ-সভাপতি সাখাওয়াত রায়হান, সহ-সভাপতি আবদুল মালেক, প্রচার সম্পাদক মো. জিসান, বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আরমান, বহিষ্কৃত আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, উপ-সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক ইমাম উদ্দিন পারভেজ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল হাসান দিনার প্রমুখ।
আবদুল্লাহ রাকীব/এএম/এমএস
Advertisement