রাজধানীর পুরান ঢাকার দর্জি দোকানি বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ৮ আসামির মধ্যে দু’জনের সাজা বহাল, চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন এবং দু’জনকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যেও দু’জন খালাস পেয়েছেন।
Advertisement
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ১৩ আসামির মধ্যে যে দুজন আপিল করেছিলেন, তারা খালাস পেয়েছেন। নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া পলাতক ১১ আসামির ব্যাপারে আদালত কোনো মন্তব্য করেননি।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর রোববার বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
তবে, রায়ে একই সঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) এবং ডাক্তারের গাফিলতি আছে কিনা তা অনুসন্ধান করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
তদন্ত ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের কারণে আসামিদের সাজা কমেছে কিনা জানতে চাইলে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নজিবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, মামলার প্রতিবেদনের জন্য নয়, সাজা কমেছে বিষয়টি এমন না। তবে আসামিদের বয়স, পেশা, শিক্ষার্থী ও আদালতের অন্তর্নিহিত ক্ষমতার বলে দণ্ড কমানো হয়েছে। এ ছাড়া, (এভিডেন্স) সাক্ষ্য প্রমাণ এবং পারিপার্শ্বিক কারণে সাজা কমানো হয়েছে।
২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা অবরোধের সময় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ভেবে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিশ্বজিৎকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। নিরীহ ওই যুবককে দিন-দুপুরে নৃশংসভাবে হত্যার দৃশ্য টেলিভিশনে দেখে আঁতকে উঠেছিল দেশের মানুষ।
বিশ্বজিৎ হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪। ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এফএইচ/জেএইচ/আরআইপি
Advertisement