আইন-আদালত

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা : আদালত পরিবর্তনের আবেদন

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আদালত পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। রোববার হাইকোর্টে এ সংক্রান্ত একটি আবেদন করেন তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন।

Advertisement

বর্তমানে মামলাটি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে বিচারাধীন। এর আগেও খালেদা জিয়ার আবেদনে এ মামলায় আদালত পরিবর্তন করে দেন হাইকোর্ট।

খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দীন খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের দ্বৈত বেঞ্চে আগামীকাল (সোমবার) এ সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

পরে ব্যারিস্টার বদরোদ্দোজা বাদল জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আদালত পরিবর্তন চেয়ে আবেদন করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। সোমবার বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।

৩ আগস্ট জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের জামিন কেন বাতিল হবে না- এ বিষয়ে আদেশের জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান।

অপর দু’জন হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

ওইদিন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আত্মপক্ষের সমর্থনের দিন ধার্য ছিল। খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে থাকায় আদালতে হাজির হতে না পারায় সময়ের আবেদন করেন তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, জিয়া উদ্দিন জিয়া ও তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ।

Advertisement

অপরদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাগজ খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল চেয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের কার্যক্রম পরিচালনা করতে অনুরোধ করেন।

এ সময় বিচারক খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল কেন করা হবে না- এ বিষয়ে তার আইনজীবীদের কাছে আধা ঘণ্টার (দুপুর দেড়টা থেকে ২টা) মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চান।

পরে দুপুর ২টায় খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা একটি লিখিত ব্যাখ্যা দেন। ব্যাখ্যায় তারা বলেন, খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়েছেন। তিনি সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরবেন। দেশে ফেরার পর তিনি আর কখনো হাজিরায় অনুপস্থিত থাকবেন না। এরপর বিচারক আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে আদেশের জন্য দিন নির্ধারণ করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এ অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ছয় কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।

জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সংসদ সদস্য ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

এফএইচএস/এমএমজেড/এসআর/এমএআর/জেআইএম