অর্থনীতি

২০৩০ সালের মধ্যে দেশে একশ ইকোনমিক জোন হবে

পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে ১০০টি ইকোনমিক জোন হবে, যার মধ্যে ২৩টি ইকোনমিক জোনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করা হয়েছে।

Advertisement

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের আরবিটেশন সেন্টারে ‘ইনভায়রনমেন্ট এওয়ারনেস থ্রো মেডিয়েশন এন্ড গর্ভমেন্ট ফাংশনারিজ’ শীর্ষক কর্মশালায় এই তথ্য জানান বক্তারা। বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইকোনমিক জোন অথরিটির ডেপুটি সেক্রেটারি মো. দাউদ মিয়া।

তিনি বলেন, পরিবেশের সুরক্ষা নিশ্চিত করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে হবে। নতুন নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন করতে হবে তবে পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে নয়। এ লক্ষ্যে সরকার ইতোমধ্যেই ২৩টি ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে চট্রগ্রামের মিরসরাইয়ে ৩০ হাজার একর জমি নিয়ে ইকোনমিক জোনের কাজ শুরু হয়েছে। এতে পরিবেশ রক্ষায় সবুজায়ন ও জলাধারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ডেপুটি সেক্রেটারি মো. দাউদ মিয়া বলেন, জাপান, ভিয়েতনাম, মিয়ানমারে যেমন নতুন নতুন শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে, তেমনি পরিবেশের বিপর্যয় থেকে রক্ষা পেতে পাশেই সবুজায়ন ও বনায়ন গড়ে তুলছে। আমাদের দেশেও পরিকল্পনা নিয়ে শিল্প কারখানা গড়ে তুলতে হবে।

Advertisement

বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির সভাপতি বিচারপতি দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামীর সঞ্চালনায় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি মোল্লা মিজানুর রহমান, অ্যাডভোকেট আফসানা বেগম, তন্ময় রহমান শান্তা, ড. সাদিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট আনিছুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা পরিবেশ রক্ষায় জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন। শিশু শ্রেণি থেকে উচ্চতর শিক্ষায় পরিবেশ রক্ষার বিষয়টি পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্তের দাবি জানান।

এফএইচ/ওআর/জেআইএম