মা হওয়ার আনন্দে বেশিরভাগ নারী সন্তান জন্ম দেয়ার কষ্ট ভুলে যান। সন্তানের মুখ দেখে স্বর্গীয় সুখ পান না এমন মা পাওয়া বিরলই বটে। তবে ব্যতিক্রম যে একেবারেই নেই, তা কিন্তু নয়।
Advertisement
ব্রিটিশ রাজ পরিবারের অন্য সবাই সন্তানকে বুকের দুধ পান করালেও, রানি ভিক্টোরিয়া একটু ব্যতিক্রম আচরণ করে বসেন। ভারতে ব্রিটিশ শাসন শুরুর সময় যিনি ছিলেন রানি। সন্তানদের স্তন্যপান করাতে ঘোর আপত্তি ছিল তার।
নিজে তো সন্তানদের স্তন্যপান করাতেনই না, পরিচিতদের, বান্ধবীদের এমনকি মেয়েদেরও তিনি সব সময় পরামর্শ দিতেন স্তন্যপান না করানোর। যদিও রানি ভিক্টোরিয়ার সেই পরামর্শে কর্ণপাত করেননি তার কোনো মেয়েই।
সেকারণে ব্রিটিশ রাজ পরিবারের রানিদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ব্যাতিক্রম হয়েছিলেন রানি ভিক্টোরিয়া। পরে রাজ পরিবারের আরও এক রানি পদাঙ্ক অনুসরণ করেন রানি ভিক্টোরিয়ার।
Advertisement
তিনি প্রিন্সেস মার্গারেট। এখনকার রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বোন। কোনো সন্তানকে তিনিও স্তন্যপান করাতে চাননি। শোনা যায়, সন্তানের জন্ম দেয়ার আগেই তিনি রাজ পরিবারের চিকিৎসককে বলে দিয়েছিলেন, তার সন্তানকে স্তন্যপান করাবেন অন্য কেউ।
দীর্ঘ দিন ধরে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্তন্যপান করাতে পারবেন, এমন কাউকে খুঁজে নিয়ে আসার জন্য রাজ পরিবারের ম্যানেজারদের আগেভাগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি।
তবে প্রিন্সেস মার্গারেটের মা রানি প্রথম এলিজাবেথ অত্যন্ত আগ্রহী ছিলেন সন্তানদের স্তন্যপান করাতে। তার কন্যা রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথও তার চার সন্তানকে স্তন্যপান করাতে কার্পণ্য করেননি।
তবে চার্লসের জন্ম দেয়ার মাস দু’য়েক পরেই হাম হয় রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। সেই সময় বেশ কিছু দিন চার্লসকে স্তন্যপান করান এক নারী। শাশুড়ি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের পদাঙ্ক অনুসরণ করেছিলেন তার এক সময়ের পুত্রবধূ প্রিন্সেস ডায়ানাও। তার দুই পুত্রকেই স্তন্যপান করিয়েছিলেন যুবরানি ডায়ানা। আনন্দবাজার।
Advertisement
কেএ/এমএস