তথ্যপ্রযুক্তি

ভয়ঙ্কর এসব অনলাইন গেম থেকে সাবধান

অনলাইনে গেম খেলা হয়, তাহলে সাবধান। অনলাইন গেম ‘ব্লু হোয়েল’ যেন একটি মরণফাঁদ। এই গেমে মোটি ৫০টি ধাপ। যার সর্বশেষ ধাপ মৃত্যু। তেমনি আরও কয়েকটি গেম সম্পর্কে নিচে বলা হলো-

Advertisement

দ্য ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জগেমটি খেলার সময়সীমা ৫০ দিন। এই খেলার নির্দেশ অনুযায়ী অংশগ্রহণকারীকে ৫০টি ‘টাস্ক’ শেষ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে নিজেকে আঘাত করা, ভয়ানক ভিডিও দেখার মতই আরও নানা রকম ভয়ানক ‘টাস্ক’। শেষ ‘টাস্ক’টি হলো আত্মহত্যা। এখনও পর্যন্ত এই গেম খেলে ১৩০ জন অংশগ্রহণকারী আত্মহত্যা করেছেন।

দ্য পাস আউট চ্যালেঞ্জএটি এক ধরনের চোকিং গেম। টিনএজারদের মধ্যে এই গেমের জনপ্রিয়তা বিপুল। এখনও পর্যন্ত ১০০০ জনের প্রাণ কেড়েছে এই গেম।

দ্য সল্ট অ্যান্ড আইস চ্যালেঞ্জএই গেমে প্রথমে চামড়ার উপর নুন রাখতে হয়। তার উপর বরফ চেপে ধরতে হয়। এতে বরফের তাপমাত্রা কমে যায়। যা ত্বকের উপর ভয়ঙ্কর ক্ষতের সৃষ্টি করে। খেলায় এখনও কারও মৃত্যু হয়নি।

Advertisement

দ্য ফায়ার চ্যালেঞ্জএই ভয়ানক খেলার নেশায় গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় অংশগ্রহণকারীরা। অনেকেই আবার সেই ঘটনার ভিডিও আপলোড করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের এক কিশোর নিজের গায়ে অ্যালকোহল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। ভয়ঙ্কর ক্ষত নিয়ে মারাও যায় সে। তবে মারা যাওয়ার আগে সে জানায়, গেমের এই পরিণতি সম্পর্কে তার জানা ছিল না।

দ্য কাটিং চ্যালেঞ্জএই গেমে নিজেদের হাত-পা নিজেরাই কাটে অংশগ্রহণকারীরা। সেই ছবি আপলোডও করে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এখনও পর্যন্ত এই গেমে কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রাশিয়ায় শুরু হয় ওই মারণ খেলা। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে দু’বছর পরে। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, নীল তিমিরা মারা যাওয়ার আগে জল ছেড়ে ডাঙায় ওঠে। যেন আত্মহত্যার জন্যই। সেই থেকেই এই গেমের নাম হয়েছে ‘ব্লু হোয়েল’।

আরএস/পিআর

Advertisement