আন্তর্জাতিক

শিলাখণ্ডের আঘাতে চুরমার বিমানের উইন্ডস্ক্রিন

প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করাটা যে কতটা দুঃসাধ্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়া লোকজন বিষয়টা ভালভাবে বুঝতে পারবেন। আর সেই দুর্যোগ যদি মোকাবিলা করতে হয় পানির মধ্যে কিংবা উড়ন্ত অবস্থায়; তাহলে ভোগান্তি বেড়ে যায় বহু গুণে।

Advertisement

তুরস্কের ইস্তানবুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দরে গত বৃহস্পতিবারের ঘটনা। বিমান তখন আকাশে অনেক উচ্চতায়। শুরু হয়ে গেল তুমুল শিলাবৃষ্টি। একের পর এক শিলা এসে আছড়ে পড়তে লাগল বিমানের উপর। বিশাল বিশাল শিলাখণ্ডের একটির আঘাতে চুরমার হয়ে গেল উইন্ডস্ক্রিনের কাচ।

পাইলটের সামনের অংশ তখন একেবারে খালি! আকাশে ঘন অন্ধকার। চোখে অন্ধকার দেখছেন পাইলটও। তবে শেষ অবধি নিরাপদে বিমানটি অবতরণ করাতে পেরেছেন তিনি।

ভাগ্যিস, এমন একজন পাইলট পেয়েছিলেন বিমানের একশ ২১ জন যাত্রী ও জনাছয়েক বিমানকর্মী! তাই বেঁচে গেলেন বরাতজোরে!

Advertisement

পাইলট ইউক্রেনের নাগরিক ক্যাপ্টেন আলেকজান্ডার আকোপভকে তার বীরত্বের জন্য ইউক্রেনের সর্বোচ্চ সম্মান ‘অর্ডার ফর কারেজ’ দিয়ে সম্মানিত করা হল। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো।

পাইলট আকোপভ পরে জানিয়েছেন, ডিম্বাকৃতির বড় বড় শিলা এসে আছড়ে পড়ছিল উইন্ডস্ক্রিনের উপর। কিছুক্ষণ আগেই তখন বিমানবন্দর থেকে আকাশে উড়েছে বিমানটি। যাওয়ার কথা ছিল সাইপ্রাসে। মাত্র ১০ মিনিট আগে ছেড়েছিল বিমানটি।

তখনই কয়েকটি বড় শিলা এসে চুরমার করে ভেঙে দেয় উইন্ডস্ক্রিনের কাচ। তাতে বিমানের অটোপাইলট সিস্টেমও অচল হয়ে পড়ে। দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচতে আতাতুর্ক বিমানবন্দর থেকে জরুরি অবতরণের নির্দেশ দেয়া হয়। তাতে বেঁচে যান বিমানের শতাধিক যাত্রী। আনন্দবাজার।

কেএ/আরআইপি

Advertisement