কক্সবাজারের সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. রুহুল আমীন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমকে ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
Advertisement
রবি ও সোমবার (৩০ ও ৩১ জুলাই) কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের অর্থ আত্মসাৎ সংক্রান্ত মামলায় এ নিয়ে দুবার জেলে গেলেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের এক সময়ের দাপুটে এ দুই কর্মকর্তা।
আদালত সূত্র জানায়, মাতারবাড়ি কয়লাবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণের ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় গত ২৩ মে সাবেক জেলা প্রশাসক রুহুল আমীন ও ৯ মে এডিসি জাফর আলম প্রথমবার কারাগারে যান।
Advertisement
মামলা হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নেয়ার পর দুদক আদালতে চার্জশিট দেয়ার পর ঢাকার সেগুনবাগিচা থেকে প্রথমে এডিসি জাফরকে গ্রেফতার করে দুদকের একটি টিম।
পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ডিসি রুহুল আমিন জামিন আবেদন করতে এলে কক্সবাজারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. তৌফিক আজিজ জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারের পাঠানোর নির্দেশ দেন।
সোমবার দুপুরের পর আদালতে আসেন সাবেক এডিসি জাফর আলম। আদালতের বিচারক তাকেও একইভাবে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
দুর্নীতির অভিযোগে ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর মাতারবাড়ির ব্যবসায়ী এ কে এম কায়সারুল ইসলাম চৌধুরী বাদী হয়ে সাবেক জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিন, সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) জাফর আলমসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলা করেন।
Advertisement
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্তের জন্য দুদককে নির্দেশ দেন। দুদক দীর্ঘ তদন্ত শেষে প্রায় ২২ কোটি টাকা আত্মসাতের সঙ্গে সাবেক জেলা প্রশাসকসহ ৩৬ জনের জড়িত থাকার বিষয়টি দেখতে পায়। গত ৩ এপ্রিল তাদের বিরুদ্ধে আদালতে দুদক অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করে।
দুদকের আইনজীবী আবদুর রহিম জানান, ৯ মে এ মামলার আসামি এডিসি জাফর ঢাকার সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে আর ৩ এপ্রিল কক্সবাজার শহর থেকে জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার (এলও) সাবেক উচ্চমান সহকারী আবুল কাশেম মজুমদার, সাবেক সার্ভেয়ার ফখরুল ইসলাম ও কক্সবাজার আদালতের আইনজীবী নুর মোহাম্মদ সিকদারকে গ্রেফতার করে দুদক। আর ডিসি রুহুল আমিন ২৩ মে আত্মসমর্পণ করতে এসে কারান্তরীণ হন। তারাও এই দুর্নীতি মামলার আসামি। সবাই জামিনে বের হলেও বর্তমানে আবার জামিন বাতিল হয়েছে। এরপর ৩০ ও ৩১ জুলাই সাবেক ডিসি ও এডিসি আদালতে আত্মসমর্পণ করলেও বাকিরা এখনো বাইরে রয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/আরআইপি